ছবি: মেসেঞ্জার
চাকরিতে পুনর্বহালসহ তিন দাবি নিয়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে তাঁরা এসব দাবি তুলে ধরেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, দেশে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ২৮৪ শাখা ও দু'শতাধিক উপশাখা রয়েছে। এসব শাখায় ২০২৩ সাল থেকে চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত ৬৭২ জনকে চাকরিচ্যুত করেছে ব্যাংকটি। এরমধ্যে চাকরিচ্যুত অনেকের এক বছরের প্রভিশন পিরিয়ড শেষ হয়েছে। তবে তাদের চাকরি স্থায়ী করা হয়নি বরং করা হয়েছে চাকরিচ্যুত।
এর আগে ৩১ অক্টোবর ব্যাংকটির নিয়োগ করা ৬৭২ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। বিনা নোটিশে ইমেইলের মাধ্যমে চাকরিচ্যুতির বিষয়টি জানানোর পর ব্যাংকে উপস্থিত হওয়া কর্মীদের চাকরিচ্যুতিপত্র ধরিয়ে দেয় বলে উল্লেখ করেন মানববন্ধনে উপস্থিত কর্মীরা।
বক্তারা আরও বলেন, সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় অন্য চাকরি ছেড়ে ব্যাংকে এসেছি। বহু চাকরি প্রত্যাশীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে পেয়েছি এ চাকরি। কিন্তু অনেকেই প্রচার করছে আমাদের নিয়োগ নাকি অবৈধ। অথচ, আমরা ব্যাংকের সব নিয়মকানুন মেনেই চাকরিতে জয়েন করেছি। এদিকে ৫ আগস্টের পর ব্যাংকের সংকটাপন্ন অবস্থায় দিনরাত এক করে কাজ করেছি। যেন ব্যাংককে ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু দিনশেষে সকল অনিশ্চয়তা আমাদের উপর ভর করেছে।
চাকরিচ্যুত ব্যাংকারদের দাবিগুলো হলো- চাকরিচ্যুত কর্মীদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করতে হবে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদকে এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় পুনরাবৃত্তি বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি স্বচ্ছ এবং জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া প্রবর্তন করতে হবে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কর্মসূচী পালন করার কথা থাকলেও সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই জামালখান এলাকায় চাকরিচ্যুত কর্মীরা ঘুরাঘুরি করছিলেন। এসময় জামালখান সিঁড়িগোড়া এলাকায় চাকরিচ্যুত এক কর্মীর সঙ্গে দেখা হয় প্রতিবেদকের। মলিন চেহারায় এ কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরিবারের একমাত্র উপার্জনাক্ষম ব্যক্তি তিনি নিজেই। চাকরিচ্যুতির পর চট্টগ্রাম নগরে ফিরে বন্ধুর ব্যাচেলর বাসায় উঠেছেন। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী, সন্তান তার অপেক্ষায়। তবে তাঁদের জানানো হয়নি এমন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন পরিবারের চালিকাশক্তির।
মেসেঞ্জার/রিমন/এসকে/ইএইচএম