ছবি: ফয়সাল এলাহী
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বন্দরনগরীতে ফিরে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “আমি কোনো নগরপিতা হিসেবে নয়, নগরসেবক হিসেবে আপনাদের পাশে থাকতে চাই। এই শহরে ৭০ লাখ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও ভাষার মানুষ আছেন। আমি সবার পাশে থেকে সেবক হিসেবে কাজ করে যেতে চাই।”
শপথ নেওয়ার পর মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা থেকে সোনার বাংলা ট্রেনযোগে বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছান নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত। সেখানে পুরোনো রেলওয়ে স্টেশনে বিএনপির উদ্যোগে ডাকা সমাবেশে বক্তব্য দেন তিনি।
নগরবাসীর উদ্দেশে ডা. শাহাদাত বলেন, “আমি আপনাদের সন্তান। শহর শুধু আমার একার না, ৭০ লাখ মানুষের। এই শহর হবে ক্লিন-গ্রিন ও হেলদি সিটি।”
বক্তব্যের শুরুতে ডা. শাহাদাত হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক ও আসলাম চৌধুরী সহ চট্টগ্রামের সকল বিএনপি নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে চসিকের নতুন মেয়র বলেন, “ভাইয়েরা-বোনেরা আপনারা গত ১৬ বছর ঘরে থাকতে পারেননি। পরিবারের খোঁজ নিতে পারেননি। বাচ্চার জন্য দুধ কিনতে পারেননি, বাজার করার টাকা ছিল না। অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটিয়েছেন। আপনাদের এই অসহায়ত্ব আমরা দেখেছি। আপনাদের এই ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। আমাদের শত শত নেতাকর্মী খুন-গুমের শিকার হয়েছেন। ১ লাখ মামলায় ৬০ লাখ আসামি হয়েছেন। তবুও আদর্শচ্যুত হননি। এটাই আমাদের শক্তি।”
চসিক মেয়র বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইসিটি মামলা দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরন করা হয়েছিল। তবুও গণমাধ্যম বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলার খবর ছাপিয়েছে। গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এম এ আজিজ, এস এম সাইফুল আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শাহ আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, এস. এম আবুল ফয়েজ, আবুল হাসেম, ইসকান্দর মির্জা, মুজিবুল হক, মো. সালাউদ্দিন, গাজী সিরাজ উল্লাহ, আনোয়ার হোসেন লিপু, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মশিউল আলম স্বপন, মোশাররফ হোসেন ডিপটি, এম. এ সবুর, মোহাম্মদ আজম, মো. ইসমাইল বালি, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক ও সিডিএ বোর্ড মেম্বার সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতা ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, মনজুর উদ্দিন চৌধুরী, নাজমুল মুস্তাফা আমিন, মুজিবুল হক চেয়ারম্যান, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, সাধারণ সম্পাদক জেলী চৌধুরী, থানা বিএনপির সভাপতি হাজী বাবুল হক, আবদুস সাত্তার সেলিম, মো. সেকান্দর, আবদুল্লাহ আল হারুন, এম আই চৌধুরী মামুন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দিন জিয়া, মো. শাহাবুদ্দিন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার উদ্দিন সেলিম, মহানগর যুবদলের ফজলুল হক সুমন, এমদাদুল হক বাদশা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া।
পুরাতন রেলওয়ে স্টেশনে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে মেয়র হযরত শাহ আমানত (র.) ও বদর আউলিয়া (র.) মাজার জিয়ারত করেন। এরপরে বিকেলে লালদিঘীর পাড়স্থ চসিক লাইব্রেরি ভবনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়, সংবাদ সম্মেলন এবং টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া মোনাজাতে অংশ নেন।
মেসেঞ্জার/এসকে/ইএইচএম