ছবি : মেসেঞ্জার
(৫ আগস্ট) সকালে ঢাকায় বাংলামোটরে ২৪ এর অভ্যুন্থানে সন্তানদের সাথে অংশ নেয়ার মুহুর্তের কথা উল্লেখ করে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার শহিদুল ইসলাম এনডিসি বলেছেন, ডিসি হওয়ার জন্য আনফিট ছিলাম। এখন আমরা বিভাগীয় কমিশনার হওয়ার জন্য ফিট। আগে ডিসিই হতে পারি নাই। এখন ডিসিদের চালাবো। সাহস করে এসেছি। দায়িত্ব নিয়েছি। এখন বিভাগীয় কমিশনার হয়ে ডিসিদের পরিচালনা করার সুযোগ পাবো। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আবু সাঈদের জীবনদানের স্পিরিট বাস্তবায়ন করতে চাই।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় একথা বলেন তিনি। এসময় অতিরিক্ত ৩বিভাগীয় কমিশনারসহ রংপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মী এবং বিদ্যমান সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে হয়েছিল ২৪ এর অভ্যুন্থান। আন্দোলনে অংশ নেয়া আমার দুই সন্তান (৫ আগস্ট) ১০টায় বাংলা মোটর এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে মিছিলে যায়। তখন আমিও তাদের পিছু পিছু যাই। তাদের সাথে আমি নিজেও মিছিলে অংশ নেই। এরপর নতুন বাংলাদেশ হলো।’
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ‘আমি তো পাবলিক সারভেন্ট। মানে জনগনের চাকর। কিন্তু আমরা এটাকে সুন্দরকরে শোনার জন্য বলি জনসেবক। আমাদের হেডম্যান কেবিটে সেক্রেটারী। তিনি খুব রিনাউন পারসন। ভদ্র, নিরহংকার মানুষ। তিনি যখন আমাদের ব্রিফ করলেন। তোমাদের দুইজনকে প্রথম বিভাগীয় কমিশনার বানিয়েছি। এই মুভমেন্টের পরে অনেক ভেবে চিন্তে দেখেছি। আমরা চাই, দায়িত্ব নাও, তোমরা পারবা। আমরা ডিসি হওয়ার জন্য আনফিট ছিলাম। এখন আমরা বিভাগীয় কমিশনার হওয়ার জন্য ফিট। এখন আমরা ডিপুটি কমিশনারদের গার্ডিয়ান। আপনাদের (রংপুর) বিভাগে আসলাম।
তিনি বলেন, ‘একটু তো ভয় লাগেই। কোনদিন ডিসি হতে পারি নাই। এখন ডিসিদের চালাবো। এটা কঠিন ব্যাপার। সাহস করে এসেছি। দায়িত্ব নিয়েছি ৭দিন হলো। সবকিছু এতো সহজে এ্যসেস করা যাবে না। কালের বিবর্তনে আপনারা এ্যাসেসমেন্টে নিয়ে আসবেন। স্বার্থকতা যা থাকবে সব আপনাদের বিফলতা যা থাকবে সব আমিসহ আমাদের। এখানে আমি এসেছি রংপুরবাসির সেবা দিতে। রংপুরবাসির সেবাগুলো তাদের কাছে পৌছে দেয়া, মিলেমিশে কাজ করা। নিরহংকারভাবে কাজ করতে।’
তিনি বলেন, যারা মিডিয়া জগতে কাজ করছেন, আপনারা জাতি গঠনের মেইন পিলার। আপনারা সমাজের আয়না। কালোকে কালো, সাদাকে সাদা বলার সাহস শুধু আপনাদেরই আছে। আমার নাই। কারণ উপরে আমার একটা খরগ আছে। আপনারা সব কিছু মূল্যয়ন করবেন। আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতায় আবু সাঈদের রংপুরের বৈষম্য দূর করতে কাজ করতে চাই।
তিনি বলেন, ‘বিদেশে ভারতীয় বাঙাগালীরা নিজেদের পরিচয় দেয় ইন্ডিয়ান। তারা নিজেদের বাঙ্গালী বলে না। কিন্তু আমরা শুধু বাঙ্গালী বলতে বাধ্য ছিলাম, বাংলাদেশী বলতে পারতাম না। সেই আকাঙখাতেই ২৪ এর গণ অভ্যুন্থান। তা বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি রংপুর বিভাগের বাজেট বৈষম্য দূরকরণ, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন, সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকে পরিণত করা, বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করা, স্টেশন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন সমস্যা দূর করতে সরকারের সাথে নেগোসিয়েশনের প্রতিশ্রুতি দেন।
মেসেঞ্জার/মান্নান/তারেক