ঢাকা,  বুধবার
০৬ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

রুমায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

রুমা (বান্দরবান) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ৬ নভেম্বর ২০২৪

রুমায় নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি : মেসেঞ্জার

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় রুমা সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের থানা পাড়া বৌদ্ধ বিহার যাওয়ার রাস্তায় ২০০ মিটার এই এইচবিবি রাস্তাটি নির্মাণে বালু বিহীন নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অভিযোগের সূত্রে গণমাধ্যমের একটি টিম সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে গেলে দেখা মিলে ইট সোলিং রাস্তায় বালু না দিয়ে রাস্তার কাজ সমাপ্তির করা চেষ্টা করেছে লাইসেন্স চৌধুরী এন্ড ব্রাদার্স ঠিকাদার রুমা উপজেলার শ্রমিক দলের সভাপতি আবু মোতালেব।

জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জেলা পরিষদের আওতায় রুমা-বগালেক রাস্তা হতে থানা পাড়া বৌদ্ধ বিহার পর্যন্ত এইচবিবি দ্বারা উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়। যা বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৩০লাখ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তায় ৩ইঞ্চি বালু ব্যবহারের কথা থাকলেও, তা মানছে না ঠিকাদার। শুধু তা নই, সাংগু নদীর পাড় থেকে বালু নিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজে ব্যবহার করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।

তারা আরো বলেন, 'আমরা ৩৩ বছর ধরে এখানে বসবাস করছি। এখনো পর্যন্ত কোনো রাস্তা হয়নি। এত বছর পর রাস্তা হচ্ছে, তাও কাজের মান খুব নিম্ন। ইটগুলো সব ভাঙা।'

রাস্তার কাজে মিস্ট্রি রেজাউল করিমকে নদীর বালু ও নিম্নমানের ইট ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজের সিডিউলে কিভাবে লেখা আছে তা আমি জানি না। ঠিকাদার যেভাবে বলেছে এইভাবে কাজ করেছি। আমি বালু দিতে চাইলেও ঠিকাদার বলেছে বালু ব্যবহার না করতে, তাহলে আমি কেমনে বালু দিব।

এইচবিবি রাস্তার কাজে অভিযোগ দেওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু বক্কর কে রাস্তার নির্মাণকাজ পরিদর্শনে পাঠানো হয় পরে আবু বক্কর এসে মিস্ট্রিকে ইট তুলে বালু ঠিক মতো করে দিতে নির্দেশ দেন। 

নদীর বালু ব্যবহারের অনুমতি আছে কি না, জানতে চাইলে ঠিকাদার আবু মোতালেব বলেন, জেলা পরিষদের অনুমতিতেই এই ইট ও নদীর বালু ব্যবহার করেছি। তিনি আরো বলেন, কাজটিতে আমিসহ ২নং রুমা সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শৈমং মারমা শৈবংসহ আমরা ২জন মিলে করছি।

জেলা পরিষদদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের অফিস থেকে মানুষ অনুপস্থিতি কাজ করা হয়েছে ঠিকাদার। আমরা এসে দেখি বালু বিহীন ইট বসানো হয়েছে। ইটগুলো তুলে বালু দেওয়া হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ঐ কর্মকর্তা।

মেসেঞ্জার/অংবাচিং/তারেক