ছবি : মেসেঞ্জার
রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে বিভাগীয় সদর ময়মনসিংহে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও বিকেএসপির সর্ব বৃহৎ আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের জায়গা নির্ধারণ সাত বছরেও সম্পন্ন হয়নি। অবিলম্বে দুটি প্রতিষ্ঠান স্থাপনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী।
যুব ও ক্রীড়া সচিব বলেন, দেশের যুব সমাজকে খেলাধুলার পাশাপাশি সামাজিক কাজে দক্ষতা অর্জনের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সেই সাথে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানের ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য রাজধানীর পাশে উন্নতমানের বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম এবং সর্বাধুনিক বিকেএসপির আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ময়মনসিংহে প্রস্তাবিত বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে মূল বিকেএসপির পরে সর্ববৃহৎ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী ময়মনসিংহের ছেলে-মেয়েরা জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে। সম্প্রতি সাফ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ-২০২৪ শিরোপা অর্জনে জাতীয় মহিলা ফুটবল দলে ৮জন নারী খেলোয়াড় ময়মনসিংহের কলসিন্দরের সন্তান। জাতীয় পর্যায়ে খেলাধুলায় ময়মনসিংহের অবদান অনস্বীকার্য। তাই এ অঞ্চলে বিকেএসপির আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে।
দেশে ক্রীড়া শিক্ষার একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৮৬ বাংলাদেশ সরকার সাভারের জিরানিতে প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি। পরে এটির পাঁচটি আঞ্চলিক কেন্দ্র চালু হয়েছে দিনাজপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও সিলেটে। বর্তমান সরকার রাজশাহী, কক্সবাজারের রামু ও ময়মনসিংহে আরও তিনটি আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণের কাজে অনেকদূর এগিয়ে গেছে।
নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের ওপর সরকারের বিশেষ দৃষ্টি থাকার কথা জানিয়ে ক্রীড়া সচিব বলেন, সরকার ময়মনসিংহকে খেলাধুলার তীর্থভূমি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। শিগগিরই এখানে একটি ইনডোর স্টেডিয়ামও নির্মাণ করা হবে।
মেসেঞ্জার/নজরুল/তারেক