ছবি : মেসেঞ্জার
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত সবজি বিক্রেতা শহীদ সাজ্জাদ হোসেন হত্যা মামলায় রংপুরের গঙ্গাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম লেবুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে গঙ্গাচড়া উপজেলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আল-ইমরান জানান, সাবেক চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবুর নামে রংপুর মহানগরীর কোতোয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় (১৯ জুলাই) সিটি বাজারে এলাকায় পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত সবজি বিক্রেতা শহীদ সাজ্জাদ হোসেন (২৮) হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত ৪৪ নম্বর আসামি।
(২০ আগস্ট) তার স্ত্রী জিতু বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মাজহারুল ইসলাম লেবু আওয়ামী লীগের গংগাচড়া সদর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। ২০২৩ সালের (২১ নভেম্বর) নৌকা প্রতীক নিয়ে গঙ্গাচড়া উপজেলার গঙ্গাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান হন। পরে আদালতের আদেশে পুনরায় ভোট গণনার পর সেখানে জাতীয় পার্টির মাহফুজুর রহমান দুলুকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।
রংপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শরিফ উদ্দিন জানান, সাজ্জাদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ওয়ারকার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, সাংবাদিক সুভাষ সিংহ রায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, আওয়ামী লীগ নেত্রী অপু উকিলকে হুকুমের আসামি করে ৫১জন নামীয় ও অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় মাজহারুল ইসলাম লেবু এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন।
এসপি বলেন, ২৪ এর অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতাকে হত্যাকারী কাউকেই আইনের হাত থেকে রেহাই দেয়া হবে না। তারা যেখানে যেভাবেই থাকুক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মেসেঞ্জার/মান্নান/তারেক