ছবি : মেসেঞ্জার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ব্যবহার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য, দুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ নন বলে জানিয়েছে চাঁপাইনবাববগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ শহীদ মিনারে, বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানায় চাঁপাইনবাববগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ মামলা বাদীর একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়।
এ মামলা ইস্যুতে চাঁদাবাজির কথা উল্লেখ করে সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি, বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে চাঁপাইনবাববগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাববগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোললের সাব্বির আহমেদ, আব্দুর রাহিম, সাকির আহমেদ, বায়োজিদ ইসলাম জীবন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগ করে (১ নভেম্বর) সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাহিদ ইসলাম রাজন, বারঘোরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ সহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নামে মামলা করেন ইউসুফ আলী নামে এক যুবক।
ইউসুফ মামলার এজাহারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে মামলা দায়ের করছেন বলে উল্লেখ করলেও, এ মামলার সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সম্পৃক্ত নয় বলে জানানো হয়, সংবাদ সম্মেলনে।
এদিকে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এ মামলায় বারঘোরিয়া ও মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, কয়েকজন ওয়ার্ড সদস্য আদালতে আর্তসমর্পন করে জামিন প্রার্থনা করলে, আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওই দিন আদালতে মামলার বাদি ইউসুফ উপস্থিত হয়ে, আসামীদের জামিনে তার আপর্ত্তি নেই মর্মে আবেদন করলে, আদালত তাকেও সন্ধ্যা পর্যন্ত আটক রাখার শাস্তি দেন।
এ নিয়ে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়, মামলার বাদীর উদ্দেশ্য নিয়ে বেশ সরগোল পড়ে যায় আদালত পাড়ায়। সেই রেস কাটতে না কাটতেই ইউসুফ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ নন বলে ঘোষনা দিলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই সাথে মামলার মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগও তুলেছেন তারা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে সারাদেশেই এ ধরনের মামলা বানিজ্য করছে একটি চক্র। মামলাকে ইস্যু করে চাঁদাবাজি করছে। এ বিষয়গুলো তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে মামলার বাদি ইউসুফের বক্তব্য জানাতে এজাহারে উল্লেখ থাকা তার মোবাইল নাম্বারের একাধিকবার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মেসেঞ্জার/নাহিদ/তারেক