ছবি : মেসেঞ্জার
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ১৫ বছর অবৈধভাবে জেলে রেখেছিলেন। তাঁর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা ১৫ বছর স্বাধীন ভাবে চলাফেরা ও কথা বলতে পারিনি। এমনিকি বিএনপি নেতাকর্মীরা ঘরে মাথা দিয়ে ঘুমাতেও পারিনি। তবে সে দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমরা এখন স্বাধীন।
তবে এ সরকারকে আহবান জানাই দ্রুত নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশকে তুলে দিন। এসব কথা বলেছিলেন (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দীন মিয়া ঝুনু।
তিনি এসময় আরো বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান যখন ট্রেনে চড়ে প্রথম বোয়ালমারীতে আসেন, তখনই আমি দৌড়ে গিয়ে তাঁর সাথে মুসাফা করেছিলাম। সে সময় ওত ক্যামেরা বা মোবাইল ছিলনা। থাকলে ক্যামেরা বন্ধী করে রাখতাম। আর তখন থেকে একাত্মতা ঘোষণা করে জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলকে বেছে নিয়ে ছাত্র দল করেছিলাম।
আর অনেক নেতা আছে তারা পরগাছার মতো উড়ে এসে জুড়ে বসেছে। সাধারণ মানুষের নামে থানায় মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে ভীতস্থ করে নিজের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষে দল ভারী করছে। এমন নেতা অচিরেই বিতারিত হয়ে যাবে। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ যেমন দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। ঠিক তেমনই দশা হবে তাদের।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) পৌরশহরের কাজী হারুন শপিং কমপ্লেক্সে বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম কামালের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মজিবর রহমান, জাসাসের সভাপতি মো. আনোয়ার, পৌর বিএনপির সহসভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম কালা মিয়া, যুবদলের আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর মিনহাজুর রহমান লিপন, বোয়ালমারী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর শেখ আতিকুল আলী, শেখর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রইসুল ইসলাম পলাশ, সাবেক কাউন্সিলর শেখ আজিজুল হক, বিএনপি নেতা মফিজুল কাদের মিল্টন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. জাকির হোসেন, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল মোল্যা, যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুব হাসান সজিব, খন্দকার শামীম প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/নাজিম/তারেক