ঢাকা,  বুধবার
০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

তারাকান্দিতে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার, জামালপুর

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৭ নভেম্বর ২০২৪

তারাকান্দিতে বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা

ছবি : মেসেঞ্জার

জামালপুরের শিল্পাঞ্চল নামে খ্যাত সরিষাবাড়ী তারাকান্দিতে বাস পরিবহনের অফিস দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অফিস তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, (৫ আগষ্ট) আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর (৬ আগস্ট) কান্দারপাড়া গ্রামের বিএনপি নেতা জুয়েলের দুই ছেলে আঁখিদুল ইসলাম জনি ও জরিফের নেতৃত্ব একদল বিএনপি নেতাকর্মী বাস পরিবহনের সাংগঠনিক সম্পাদক তোতা মোল্লার কাছ থেকে অফিসে বসার কথা বলে অফিসের চাবি নিয়ে তালা খুলে নতুন করে অন্য একটি তালা লাগিয়ে দেয়।

সেই থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত বাস পরিবহনের অফিস বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে (৭ নভেম্বর) বুধবার বেলা ১১টার দিকে তারাকান্দি ট্রাক পরিবহন এলাকায় বিপ্লবের চায়ের দোকানের সামনে বাস পরিবহনের সদস্য বিএনপি নেতা সোলায়মান জনির কাছে অফিসের চাবি ফেরত চাইলে জনি ও সোলায়মানের গ্রপের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি, গালিগালাজসহ হুমকি-ধমকির ঘটনা ঘটে।

সে সময় জনি ও তার লোকজন প্রকাশ্য-দিবালোকে কোন নাম উল্লেখ না করে সেনাবাহিনীর কর্নেল'কে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তারাকান্দি ট্রাক পরিবহনের সদস্য খোকন ও আশরাফ ড্রাইভার, বাস পরিবহনের সদস্য মুকতেল, রেজাউল, বজলুসহ আরো অনেকের হস্তক্ষেপে জনি গ্রপ ও সোলায়মান গ্রুপকে দুইদিকে সরিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ্যদর্শী একাধিক ড্রাইভারের সাথে কথা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাস পরিবহন নিয়ে যা' কিছুই ঘটুক না কেন? সেটা কান্দারপাড়া বাজারের বিষয়। ট্রাক পরিবহন এলাকায় এসে বাস পরিবহনের দখলদারিত্ব নিয়ে গন্ডগোল করা বাস পরিবহন নেতাদের ঠিক হয়নি।

তারা আরো বলেন, বিএনপি নেতা জুয়েলের ছেলে আঁখিদুল ইসলাম জনির সেনাবাহিনীর কর্নেল'কে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি-ধমকির আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। পোগলদিঘা ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা বলেন, (৫ আগষ্টের) পর থেকে জুয়েলের দুই ছেলে জনি ও জরিফের অত্যাচার, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, জনি ও জরিফের কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতোমধ্যেই উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। কান্দারপাড়া বাজার বাস পরিবহনের সভাপতি মতিয়র রহমান জানান, জুয়েল ও তার দুই ছেলে জনি ও জরিফ বাস পরিবহনের কোন সদস্য নয়। সরকার পতনের পর (৬ আগষ্ট) আমার সাংগঠনিক সম্পাদক তোতার কাছ থেকে অফিসে বসার কথা বলে চাবি নিয়ে তালা খুলে অফিসের প্রধান দরজায় অন্য আরেকটি তালা লাগিয়ে দিয়েছে। সেই থেকে অদ্যবধি আমরা ড্রাইভার -হেলপাররা অফিসে বসতে পারছি না। এ নিয়ে আমরা খুব কষ্টে আছি।

তিনি আরো বলেন, জনি ও জরিফের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জুয়েল ও তার দুই ছেলের মুঠোফোন বারবার কল করলেও তাতে তারা সাঁড়া দেয়নি।

মেসেঞ্জার/দুলাল/তারেক