ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

চার বছর পর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১০:৩৯, ৯ নভেম্বর ২০২৪

চার বছর পর চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ছবি: মেসেঞ্জার

চার বছর আগে ফোন কলে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সাতকানিয়ার বাসিন্দা হানিফকে। এই ঘটনায় হানিফের বউয়ের দায়ের করা মামলার মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সাতকানিয়া থানার ফকিরের মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মো. হোছাইন হোসেন (৪১) চট্টগ্রামর সাতকানিয়া উপজেলার  পশ্চিম ছিটুয়া পাড়া ৫নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত সোলাইমানের ছেলে।

জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় নিহত হানিফকে জরুরী কথা আছে বলে ফোন কলে ডেকে নিয়ে যান গ্রেপ্তার হোসাইন। রাত সাড়ে ৭টার দিকে হানিফ একই এলাকার আনু ফকিরের দোকান আদুরে বিল্যাপাড়া রোডে গাছ বাগানের কাছে যাওয়ার পরপরই অভিযুক্তরা তাকে বেধড়ক মারধর করেন। গাছের বাটাম দিয়ে তাকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়। সেখানে তিন ঘন্টা পড়ে থাকার পর স্থানীয় কমিশনার আরিফুল ইসলাম সাতকানিয়া থানা পুলিশকে জানাই। পুলিশ এসে মুমূর্ষ অবস্থায় হানিফকে উদ্ধার করে সাতকানিয়া উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালের রেফারেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে পরদিন ২১ মার্চ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যায় হানিফ।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় হানিফের জ্ঞান ফিরলে সে হোসাইনের ফোন দিয়ে ডাকার বিষয়টি স্ত্রীকে জানান। এ ঘটনায় হানিফের স্ত্রী বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় একটি হত্যা মামলার করেন। আদালতে এ মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর নারাজি দেন বাদী পক্ষ। পরে আদালত এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে দেন।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা পুুলিশ সুপার শেখ জয়নুদ্দীন। তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় এ মামলার প্রধান আসামি মো. হোছাইনকে সাতকানিয়া থানার ফকিরের মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মূলত এ মামলায় গ্রেপ্তার অপর দুজন আসামির জাবানবন্দি ও হানিফের মৃত্যুর আগে একটি ভিডিওতে দেওয়া জবানবন্দি থেকে হোছাইনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত পলাতক অন্য আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মেসেঞ্জার/রিমন/এসকে/ইএইচএম