ছবি : মেসেঞ্জার
ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে আবারো ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে ফেরী কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে পণ্যবাহি গাড়ি চলাচল। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মাটিকাটা থেকে নৌবন্দর ঘাট পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে দেখা দিয়েছে তিব্র যানজট।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় রৌমারী ঘাট এলাকায় নাব্যতা সংকটের কারনে ফেরীর নিচের অংশ আটকায় যায়। এ কারনে সাময়িক সময়ের জন্য ফেরী চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
গাড়ির ড্রাইভার ও স্থানীয় লোকজন জানান, কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত দুটি ফেরিতে পণ্যবাহী যানসহ বিভিন্ন পরিবহন পারাপার করে আসছে বিআইডব্লিউটিএ। বর্তমানে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।
কিন্তু প্রতিদিন আমরা নদীতে যে ড্রেজিং দেখছি তা কি কোন কাজে আসছে। নাকি তারা শুধু লোক দেখানো কাজ করছেন। তারা আরো জানান, দিনে শুধুমাত্র কয়েক ঘন্টা চলে এই ড্রেজিং কাজ। বাকি সময় বন্ধ থাকে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে চিলমারী ঘাট থেকে রৌমারী পর্যন্ত ঘুরে দেখা যায়, নৌ-রুটের রৌমারী ঘাটের উত্তর পশ্চিমে প্রায় ২ কিলোমিটারের বেশীর ভাগ স্থানে পানির গভিরতা ৬ থেকে ৯ ফিট।
বর্তমানে যে রুটে ফেরী চলাচল করছে সেখানে একটি স্থানে প্রায় ৮০০ থেকে ১হাজার ফিট জায়গায় ৫ ও ৬ ফিট গভিরতা থাকায় ফেরীর নিচের অংশ বেজে যায়। যার ফলে ফেরী চলাচল বন্ধ করে কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি কমে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা প্রায় ২হাজার ফিট এলাকায় ড্রেজিং শুরু করেছি।
এরই মধ্যে প্রায় ৮শত ফিট কাজ হয়েছে বাকি অংশ ড্রেজিং হলে এই চ্যানেলে সহজে ফেরী চলাচল করতে পাবে। আর এখন যে স্থানে ফেরী আটকাচ্ছে আমরা চেষ্টা করছি ওখানে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে গভীরতা ফিরিয়ে এনে ফেরী চলাচল স্বাভাবিক করার।
মেসেঞ্জার/শাহিনুল/তারেক