ঢাকা,  বুধবার
১৩ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২০:২৮, ৯ নভেম্বর ২০২৪

সাতক্ষীরায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিদ্যালয় উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ

ছবি : মেসেঞ্জার

সাতক্ষীরায় ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে নলতায় অবস্থিত এমজেএফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় উচ্ছেদ করতে পায়তারা চালাচ্ছে একটি কু-চক্রিয় মহল। লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষা সহকারি আবুল হুসাইন বলেন, মানবাধিকার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এম.জে.এফ বিশেষ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়টি ২০০৮ সাল থেকে কালিগঞ্জ উপজেলার নলতায় বাড়ি ভিত্তিক প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপশি প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে।

পরবর্তীতে সাবেক ইউএনও গোলাম মাইনউদ্দীন হাসানের সহযোগিতায় ও যুগ্ম-সচিব সুলতান মাহমুদের পরিদর্শন পরবর্তী মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞানের মাধ্যমে বিদ্যালয়টি স্বীকৃতি লাভ করে। পরে ২০১৯ সালে নলতা জিয়ার খালের চরের খাস জমিতে বিদ্যালয়টি স্থানান্তরীত হয়।

সেই থেকে দীর্ঘ ৫বছর ওই স্থানে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জমিটি বিদ্যালয়ের নামে বন্দোবস্ত প্রদানের লক্ষে কালিগঞ্জ উপজেলার সাবেক ইউএনও রহিমা সুলতানা বুশরা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহার আলীর সহযোগিতায় স্থানীয় ভাড়াশিমলা ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শরমীষ্ঠা ছবি সহ তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন।

সেই সাথে স্কুলের নামে জমি বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ড, ইউএনও এর মাধ্যমে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করেন।

(৫ আগষ্ট) সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতির সুযোগে (৬ আগস্ট) সকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমানের ছেলে যুবলীগ নেতা ডা. আবু হাসান এবং তার সহযোগি আল-আমিন ও রুবেল, বাচ্চুর পরিকল্পনায় বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে ব্যাপক  ভাংচুর ও লুটপাট করে প্রায় ৩ লক্ষাধীক টাকার ক্ষতিসাধন করে।

একপর্যায় (১৪ আগস্ট) বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্থানীয় সেনা ক্যাম্পের সহযোগীতা কামনা করেন। পরে সেনা সদস্য ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সংস্কার কাজ শুরু হলে ওই দিন সন্ধ্যায় যুবলীগ নেতা ডা. আবু হাসানের নেতৃত্বে একটি ব্যানার টানিয়ে বিদ্যালয়ের গা ঘেষে পাঞ্জেগানা মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করে।

এসময় তারা বিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধের লক্ষ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ধর্মীয় অনুভূতি আকৃষ্ট করে বিভিন্ন পত্রিকয় সংবাদ প্রকাশ করায়। যা বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্টের পায়তারার সামিল। বর্তমানে উপরে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ এমএফ'র পরিচালক ও তার পরিবার এবং বিদ্যালয়ের স্টাফদের বিভিন্নভাবে জীবননাশের হুমকি প্রদান করে চলেছে।

তিনি এবিষয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মেসেঞ্জার/আসাদ্দুজামান/তারেক