ছবি: মেসেঞ্জার
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রেমজনিত ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে আবুল ওসমান (১৭) ও কীটনাশক পান করে মো. ফাহিম (১৬) নামে দুই কিশোর আত্মহনন করেছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকালে দুই কিশোরের মরদের ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের শোল্লা গ্রাম থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবুল ওসমান ওই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে। ফাহিম একই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
ওসমান পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সৈকত মোল্লা জানান, আবুল ওসমান স্থানীয় একটি কলেজ থেকে চলতি বছরে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। সম্প্রতি মুঠোফোনের মাধ্যমে বরিশালের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে পরিবারের লোকজন তাকে বকাঝকা করে। শুক্রবার বিকেলে পরিবারের সবাই মিলে তারা এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াতে যায়। সেখান থেকে আবুল ওসমান সবার আগে বাড়িতে চলে আসে। রাতে তার বাবা বাড়িতে এসে দেখে সে ঘরের আঁড়ার সাথে ফাঁস দেয়াবস্থায় ঝুলে আছে। পড়ে তার ডাকচিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে পুলিশকে খবর দেয়।
ওই ইউপি সদস্য আরো জানান, ফাহিম নামে অপর কিশোর স্থানীয় একটি বিদ্যালয় পড়তো। গত কয়েকমাস আগে সে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে একটি বিস্কুট ফ্যাক্টেরীতে কাজ শুরু করে। সেও একটিমেয়ের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে পরিবারের লোকজনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় তার পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। সে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কীটনাশক পান করে। পরিবারের লোকজন টের পেয়ে তাকে স্থানীয়দের সহায়তায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে ওই দুই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে অপ্রাপ্ত বয়স্ক এই দুই কিশোর প্রেম সংক্রান্ত কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে পারিবারিক ভাবে উপস্থাপিত তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছি। উভয় ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মেসেঞ্জার/আজাদ/ফামিমা