ঢাকা,  শুক্রবার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ষড়যন্ত্র আমাদের ওপর আঘাত করতে পারে : এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২১:০৮, ৯ নভেম্বর ২০২৪

অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ষড়যন্ত্র আমাদের ওপর আঘাত করতে পারে : এ্যানি

ছবি : মেসেঞ্জার

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, জনগণের চেতনা এবং অনুভূতিকে ধারণ করতে হবে। জনগণ মনে করছে এখনই দেশে নির্বাচন প্রয়োজন। খুব অল্প ও যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে ফ্যাসিস্ট ষড়যন্ত্র আমাদের ওপর আবার আঘাত করতে পারে।

এটি দেশের মানুষের জন্য কঠিন বিপদ হতে পারে। অপশক্তি যদি ছোবল মারে, তাহলে গণতন্ত্রের ভিত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নির্বাচন কমিশন সংস্কারে নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এ তিন মাসের বেশি লাগার কথা নয়। সংস্কার শেষে অবিলম্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন।

নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের প্রত্যাশা ও গণতন্ত্রের ভিত মজবুত হবে। আমরা যদি এ মুহূর্তে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা না করতে পারি, তাহলে পাশের দেশে বসে এখনো হাসিনা-ফ্যাসিস্টরা যে চক্রান্ত যে ষড়যন্ত্র করছে, সে চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।

শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে লক্ষ্মীপুরে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বর্ণাঢ্য র‌্যালি উদ্বোধনকালে এ্যানি এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি এ র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির পুরাতন গোহাটার বাসভবন থেকে শুরু হয়ে চকবাজার-উত্তর তেমুহনী হয়ে ঝুমুর এলাকায় গিয়ে মিলিত হয়। প্রায় ১৭ বছর পর কোনো বাধা ছাড়া বিএনপি বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে শান্তিপূর্ণ র‌্যালি সম্পন্ন করে।

তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এ দেশে যদি সেই ক্রান্তিলগ্নে তিনি নিউক্লিয়াসের ভূমিকা পালন না করতেন, তিনি যদি ঐক্য সৃষ্টি করতে না পারতেন, ওই দুঃশাসন, ওই ক্রান্তিলগ্ন থেকে এদেশ সেসময় রক্ষা হতো না। তার দেখানো পথেই জাতি দুঃশাসন ও ক্রান্তিলগ্ন থেকে মুক্তি পেয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় বেগম খালেদা জিয়া এ দেশ পরিচালনা করেছেন। দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গণতন্ত্রের ভিতকে বারবার শক্তিশালী করেছেন।

যখনই এদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, ফ্যাসিস্ট ভূমিকা তখন দেশনেত্রীর নেতৃত্বে আমরা আবার জাগরণ সৃষ্টি করে বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। সেই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও (৭ নভেম্বরের) মতো আরেকটি ঐক্য সৃষ্টি করার জন্য আমরা ঐকবদ্ধ আছি।

এ্যানি বলেন, (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও, ষড়যন্ত্র পালায়নি। তারা যে টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে পাচার করেছে। বাহিরে বসে আজকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। (৫ আগস্ট) আমরা রাস্তায় নেমে যেভাবে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, এখনো আমাদেরকে তারেক রহমানের নেতৃত্বে সজাগ ও সতর্কতার মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্রের ভিতকে শক্তিশালী ও মজবুত করতে হবে। তারেক রহমান শুধু এককভাবে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে আন্দোলন করেননি। দেশ রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছেন। জনগণকে রক্ষার আন্দোলন করেছে। এজন্য তিনি বলেছেন, যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করেছেন, সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের সরকার গঠন করা হবে। সেজন্য দরকার গণতন্ত্রের ভিতকে আরও মজবুত করা।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহ্বায়ক এডভোকেট হাছিবুর রহমান, সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, বিএনপি নেতা শাহ মোহাম্মদ এমরান, কামরুজ্জামান সোহেল, রায়পুর পৌরসভার সাবেক মেয়র এবিএম জিলানী, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ারসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মেসেঞ্জার/শিবলু/তারেক