ঢাকা,  বুধবার
১৩ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

৫ কোটি টাকার টেন্ডার মূল্যায়নের তথ্য ফাঁস করলেন কে?

যশোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৫৭, ৯ নভেম্বর ২০২৪

৫ কোটি টাকার টেন্ডার মূল্যায়নের তথ্য ফাঁস করলেন কে?

ছবি : মেসেঞ্জার

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৫ কোটি টাকার টেন্ডার মূল্যায়নের গোপন ফাঁস করলেন কে? হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের মাঝে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কেননা কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই তথ্য সরবরাহ না করলে মনোনীত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের নাম অন্য কারো জানার কথা নয়। হিসাব রক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটরের দিকে সন্দেহের তীর তুললেও তারা ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।

হাসপাতালের প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, (২২ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের চিকিৎসা উপকরণ সরবরাহের (এমএসআর) ছয়টি গ্রুপে  পাঁচ কোটি টাকার টেন্ডার অনলাইনে সাবমিট হয়। (২৩ সেপ্টেম্বর) পত্রিকায় টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ৬টি গ্রুপের প্রতিটিতে ১৬ থেকে ১৯ টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।  

ছয় গ্রুপের কাজের মধ্যে ওষুধ ও লিলেন সামগ্রী কাজ পায় জাজ এন্টারপ্রাইজ, ফানির্চার, সার্জিক্যাল আইটেম ও রিএজেন্ট সরবরাহের কাজ পায় প্যারাগন এন্টারপ্রাইজ এবং গজ ব্যন্ডিস সরবরাহের কাজ পায় এমএস হারামাইন এন্টারপ্রাইজ। মূল্যায়ন কমিটির অনুমোদনের কাগজপত্র সাবমিট করার আগেই এই তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।

এরই জের ধরে (৭ নভেম্বর) যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এ কে এ শরফুদ্দৌলা ছোটলুর নির্দেশে যুবদল নেতা হাবিবুল্লাহ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এই ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে ব্যাপক তোলপাড় চলছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে টেন্ডার মূল্যায়নের গোপন ফাঁস করলেন কে?

হাসপাতালের হিসাব রক্ষক ইসরাফিল হোসেন জানান, তিনি কোন ঠিকাদারকে টেন্ডার মূল্যায়নের তথ্য দেননি। তবে ঘটনার দিন মুঠোফোনে কল করে এ কে এ শরফুদ্দৌলা ছোটলু তাকে বলেন তত্ত্বাবধায়ককে ৩বার কল করলাম ধরলোনা। উত্তরে তাকে বলেছিলাম হয়তো স্যার ব্যস্ত আছেন। পরে কল দিয়ে কথা বলে নিয়েন।

এর কিছুক্ষণ পর তিনি (এ কে এ শরফুদ্দৌলা ছোটলু) লোকজন নিয়ে তত্ত্বাবধায়কের রুমে গিয়ে হট্টগোল করেন। তার উপস্থিতিতে হাবিবুল্লাহ তত্ত্বাবধায়ককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। অফিস সহকারী জাকিরের কাছ থেকে ঘটনা শোনার সাথেই তিনি (ইসরাফিল) তত্ত্বাবধায়কের কক্ষে ছুটে গিয়েছিলেন। ততক্ষণে লাঞ্ছিতকারীরা চলে যান। তিনি টেন্ডারের তথ্য ফাঁসের সাথে জড়িত না। তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

হাসপাতালের কম্পিউটার অপারেটর বাদল জানান, তার কাজ হচ্ছে সরকারি চিঠি ও ফাইলপত্র আদান প্রদান করা। টেন্ডার সংক্রান্ত কোনো কাজের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। তিনি কাউকে টেন্ডার মূল্যায়নের তথ্য দেননি। তবে অনলাইনে ইভালেশন করলে সর্বনিম্ন দরদাতা কে জানার সুযোগ রয়েছে।

হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. হারুন অর রশিদ জানান, দরপত্র মূল্যায়নের চূড়ান্ত কাগজপত্র সাবমিট করার আগেই ঠিকাদাররা এই গোপনীয় তথ্য জানার কোন সুযোগ নেই। অফিস থেকে এই তথ্য ফাঁস করা হয়েছে।

মেসেঞ্জার/বিল্লাল/তারেক