ছবি : মেসেঞ্জার
ফেসবুকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে শনিবার দিবাগত রাতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চাটমোহর উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়ন ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা। সেই সাথে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানান তারা।
খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তারা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এদিকে এই ঘটনার পর রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল থেকে হান্ডিয়াল বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।
জানা গেছে, হান্ডিয়ালের বল্লভপুর গ্রামের মৃত কালা চাঁদ দে’র ছেলে প্রশান্ত কুমার দে শনিবার (৯ নভেম্বর) তার ফেসবুকে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটুক্তি করে একটি পোস্ট দেন। এরপর রাতেই তিনি তার ফেসবুক থেকে দেওয়া পোস্টটি ডিলিট করেন।
তবে বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সবাই। মূহূর্তেই ওই ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশর্ট ফেসবুক জুড়ে ভাইরাল হয়ে পড়ে। রাতেই স্থানীয় মুসল্লিরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পুরো বাজার প্রদক্ষিণ শেষে হান্ডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি দেখা দেয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালিম, চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলমসহ পুলিশ সদস্যরা।
বিক্ষোভরত মুসল্লিরা প্রশান্ত কুমারকে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। সেই সাথে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান। পরে কর্মকর্তারা প্রশান্ত কুমারকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। অন্যদিকে ভয়ে ও আতঙ্কে রোববার সকাল থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন। পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অপরদিকে খবর পেয়ে রোববার সকালে সেনাবাহিনীর সদস্যরা হান্ডিয়াল বাজার পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। যে অপরাধ করেছে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানান ওসি।
মেসেঞ্জার/পবিত্র/তারেক