ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পে বাঁধা, চসিক মেয়রের হুঁশিয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৪১, ১০ নভেম্বর ২০২৪

আপডেট: ২১:৪২, ১০ নভেম্বর ২০২৪

বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পে বাঁধা, চসিক মেয়রের হুঁশিয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্পে বাঁধা সৃষ্টিকারীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। 

মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, পূর্ব বাকলিয়া এলাকায় কিছু মানুষ প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে বাঁধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। তাদের হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, যদি কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা কিন্তু কোন ড্রয়ং রুম থেকে আসি নাই, আমরা রাজপথ থেকেই এখানে এসেছি। কাজেই এখানে কোন মাস্তানি-সন্ত্রাসী করে জনদুর্ভোগ করা হলে এটা কখনো বরদাস্ত করা হবে না। 

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের পূর্ব ষোলশহর জীবন মিস্ত্রি সড়কে বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট গড়ে তোলা হবে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প সমাপ্ত হলে নগরীর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কমে আসবে। এ প্রকল্পের কাজের মান ভালো হতে হবে। এ প্রকল্প সমাপ্তের বিষয়ে আমি বদ্ধপরিকর। এ প্রকল্পের আওতাধীন এলাকা নয়নাভিরাম হওয়ায় কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত পর্যটন স্পট করবো। শহরের মধ্যে এ ধরনের পর্যটন স্পট হলে নাগরিকরা সুস্থ বিনোদনের একটি জায়গা পাবেন এবং এলাকায়ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।

জানা যায়, ১৯৯৫ সালে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) করা ড্রেনেজ মাস্টারপ্ল্যানে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বহদ্দারহাট বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খালটি খননের সুপারিশ করা হয়। প্রায় দুই দশক পর ২০১৪ সালের জুন মাসে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বারইপাড়া খাল খনন প্রকল্প অনুমোদন পায়। ৩২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন বছরের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও যথাসময়ে সরকারি অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এবং জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জটিলতায় প্রথম মেয়াদে প্রকল্পের কোনো কাজই করতে পারেনি সিটি করপোরেশন।

পরে ২০১৭ সালের নভেম্বরে একনেকে প্রকল্পটি পুনর্বিবেচনা করে আবারও অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের এপ্রিলে সর্বশেষ সংশোধনে প্রকল্পের সময় নির্ধারণ করা হয় ২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত। ব্যয় নির্ধারণ করা হয় এক হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। এরমধ্যে ১১০৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ব্যয় হবে ২৫ দশমিক ২৪ একর জমি অধিগ্রহণে। বাকি টাকা ব্যয় হবে খাল খনন, গাইড ওয়াল এবং উভয় পাশে রাস্তা নির্মাণ কাজে।

প্রকল্প নকশা অনুযায়ী ২.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটির গভীরতা হবে চার থেকে পাঁচ মিটার এবং চওড়া হবে ৬৫ ফুট। খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে দুটি রাস্তা হবে এবং ছয় ফুট প্রস্থের দুটি করে ওয়াকওয়ে হবে। নগরের নাসিরাবাদ, শুলকবহর, বহদ্দারহাট, বারইপাড়া, চান্দগাঁও, বাকলিয়া ও চাক্তাই এলাকার প্রায় ১০ লাখ মানুষকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিতে ২০১২ সালের নভেম্বরে এই খালটি খননের জন্য প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিল চসিক।

মেসেঞ্জার/রিমন/এসকে/ইএইচএম