ছবি : মেসেঞ্জার
কপ২৯ নেতাদের কাছে হাওরের জনগণের জলবায়ু বিপর্যয় বন্ধের জোরালো আহ্বান! বিপর্যস্ত জলবায়ু শরনার্থী ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির জন্য বৈশ্বিক পদক্ষেপের দাবি সুনামগঞ্জের হাওরে প্রতীকি ভাবে জলবায়ু বিপন্ন মানুষের দূর্ভোগ তুলে ধরা হয়েছে।
আজারবাইজানের বাকুতে সোমবার (১১ নভেম্বর) থেকে শুরু হতে যাওয়া কপ২৯-এর প্রাক্কালে, সোমবার সকালে হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটি-হাউস, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-ক্লিন ও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-বিডব্লিজিইডি যৌথভাবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার খরচার হাওরে ভাসমান ভেলার মধ্যে জীবনযাত্রার মাধ্যমে প্রতীকি ভাবে জলবায়ু বিপন্ন মানুষের দূর্ভোগ তুলে ধরা হয়।
উক্ত কর্মসূচী থেকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আয়োজন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আয়োজনের লক্ষ্য ছিল হাওর অঞ্চলের, বিশেষ করে সুনামগঞ্জের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের দুর্দশা তুলে ধরা, যেখানে ঘন ঘন আকস্মিক বন্যা, ফসলের ক্ষতি এবং হাজার হাজার মানুষের বাস্তুচ্যুতি তাদের জলবায়ু শরনার্থীতে পরিণত করেছে তা তুলে ধরা।
এসময় বক্তারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক নেতাদের কাছে জলবায়ু পরিবর্তন রোধ এবং গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। একিই সাথে তারা উল্লেখ করেন পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী চীন, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান ও জার্মানির মতো দেশগুলো থেকে নির্গমন কমানোর ব্যাপারে বিশ্ব নেতাদের পদক্ষেপ নিতে হবে।
হাওর এরিয়া আপলিফটমেন্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহীন চৌধুরী শুভ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “আমাদের এলাকার মানুষ কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এবং প্রতি বছর আরও বেশি মানুষ নানান প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে।”
প্রতীকি এই সমাবেশে লক্ষ্য করা যায় জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে ধনী দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তার মানবিক মূল্যকে একটি শক্তিশালী স্বারক হিসেবে তুলে ধরেছে আন্দোলনকারীরা, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সাথে অভিযোজন এবং কার্বন নির্গমন হ্রাসের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে, যাতে বন্যাক্রান্ত অঞ্চলগুলোর জন্য একটি সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা যায়।
এই প্রচারাভিযানে অংশ নেন সুশীল সমাজের সদস্য, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী, স্বেচ্ছাসেবক এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন স্তরের মানুষ। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফারুক আহমেদ, শহীদ নুর আহমদ, রেজাউল করীম চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, মো. হাসাইন তালুকদার প্রমুখ।
মেসেঞ্জার/দ্বিপাল/তারেক