ছবি : মেসেঞ্জার
টাঙ্গাইলের মধুপুরে নাশকতা করার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য লাভলু (২৮) ও বেরীবাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক আব্দুল হামিদ (৪৩) এবং কৃষক হত্যার অভিযোগে অপর তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব-১৪। র্যাব-১৪’র টাঙ্গাইল ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব-১৪’র টাঙ্গাইল ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হাই চৌধুরী প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপণে খবর পেয়ে সিপিসি-৩ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার এএসপি আব্দুল বাছেদের নেতৃত্বে একদল র্যাব উপজেলার ২নং বেরীবাইদ ইউনিয়নের রামকৃষ্ণবাড়ীর গ্রামে রোববার (১০ নভেম্বর) ভোরে অভিযান চালায়।
অভিযানে মধুপুর থানায় মো. আব্দুর রহমান বাদি হয়ে দায়ের দায়েরকৃত নাশকতার মামলার (নং-৪, তাং-৪/৮/২৪ইং) এজাহারভুক্ত আসামি ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে লাভলু মিয়াকে বাড়ি থেকে আটক করা হয়।
তিনি মধুপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় সদস্য। এদিন একই গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আব্দুল হামিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকেও আটক করা হয়। তিনি মধুপুর থানায় দায়েরকৃত নাশকতার মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ও বেরীবাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, টাঙ্গাইলের সদর উপজেলার লতিফপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কৃষক গোলাম মোস্তফা (৯ আগস্ট) সহোদর ও ভাতিজাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘতে খুন হন। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে রুবেল মিয়া বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-১০, তাং-১৬/৮/২৪ইং) দায়ের করেন।
ওই হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নিহতের ভাই মো. জয়নাল মিয়া (৫০) ও তার দুই ছেলে রাসেল মিয়া (৩২) এবং ওয়াছেল মিয়াকে (২৫) আটক করা হয়। একই দিন ভোরে টাঙ্গাইল ক্যাম্পের অপর একটি দল র্যাব-১১ এর সহায়তায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পাঠানটুলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।
টাঙ্গাইল ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানান, আটককৃতদের স্ব স্ব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মেসেঞ্জার/মোস্তফা/তারেক