ছবি : মেসেঞ্জার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মৌটুপি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, "বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে সরকার বংশ ও কর্তা বংশের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুর্ব শত্রুতার জেরে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এসময় দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠি, বল্লম, ইটপাটকেল নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় আহতদের ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে মোহাম্মদ উল্লাহ (৩৫) নামে একজনকে গুরুতর অবস্তায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।"
ওসি আরও জানান, "(১ নভেম্বর) এই গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সরকার বাড়ীর কাইয়ূম মিয়া (৪৫) নিহত ও অর্ধশত আহত হয়। এর আগে (১৪ সেপ্টেম্বর) দুই পক্ষের সংঘর্ষে একই বংশ সরকার বাড়ীর ইকবাল মিয়া (২৯) নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছিল।
মৌটুপি গ্রামে সরকার বংশের নেতৃত্ব দেন বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সাফায়েত উল্লাহ্ এবং কর্তা বংশের নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মো. তোফাজ্জল হক।
এই গ্রামে ৬৬ বছর যাবত আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ পর্যন্ত ১১ জন খুন হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন কয়েকশ। এছাড়া এসব ঘটনায় এপর্যন্ত বেশ কয়েকটি মামলায় আসামী হয়েছেন সাত'শয়ের বেশি মানুষ।"
এই মৌটুপি গ্রামের দুই বংশের মানুষ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরহামেশা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরেন। এবং সংঘর্ষ বাধঁলেই তারা একে অপরের বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট করে থাকেন বলেও জানান ওসি মোহাম্মদ হাসমত উল্লাহ।
মেসেঞ্জার/সাজু/তারেক