ছবি: মেসেঞ্জার
যশোর শহরে সড়কের পাশে অধিকাংশ ড্রেন ঢাকনাবিহীন হয়ে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অথচ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ড্রেনে ঢাকনা নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন, ঢাকনাবিহীন ড্রেন যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গভীর এই ড্রেনে কোনো শিশু পড়ে গেলে তলিয়ে যাবে। এছাড়া যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি তো আছেই।
পৌরসভার প্রশাসনিকসূত্র জানিয়েছে, পৌরসভা এলাকায় ২৪৭ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। তার মধ্যে ১১৭ কিলোমিটার পাকা ড্রেন। ড্রেনগুলো ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, অধিকাংশ ড্রেনে ঢাকনা দেয়া হয়নি। আলগা অবস্থায় রয়েছে। ড্রেনের পাশ দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করে। গভীর এই ড্রেনে কোনো শিশু পড়ে গেলে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা রাইদুল ইসলাম বলেন, পৌরসভা ড্রেন নির্মাণ করলেও ঢাকনা নির্মাণ করেনি। এতে করে পথচারী ও বাচ্চাদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। শিুশুরা খেলতে গিয়ে ড্রেনে পড়ে যাওয়ার মতো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আরও জানান, রাতে অনেক লাইট পোষ্টের বাল্ব জলে না, ওয়ার্ডে থাকে অন্ধকার। ওই সময় চলাচল করতে গিয়ে ঢাকনাবিহীন ড্রেনের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘোপ জেল রোডের এনএম খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষিকা মন্তিরা রানী বলেন, তার স্কুলের সামনের এলাকার রাস্তায় ঢাকনাবিহীন ড্রেন শিক্ষার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূণ হয়ে উঠেছে। স্কুল ছুটির পর তাড়াহুড়া করে শিক্ষার্থীরা বের হয়। অসাবধানতাবশত কোনো শিক্ষার্থী ড্রেন পড়ে গেলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ড্রেনে দ্রুত ঢাকনা নির্মাণের দাবি জানান এই শিক্ষিকা।
শহরের বারান্দীপাড়া,পুরাতন কসবা কাজীপাড়া, শংকরপুর এলাকার অনেকেই বলেন, বিভিন্ন কারণে মানুষ মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যায়। ড্রেনের ওপরের ঢাকনা না থাকায় পথচারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে হাঁটতে পারেন না। যে কোনো সময় পড়ে আহত হওয়ার আতঙ্ক নিয়ে চলতে হয়। ড্রেনের ঢাকনা খোলা থাকায় খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।
যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল হাসান বলেন, ঢাকনা বিহীন ড্রেনগুলো সত্যি ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে ড্রেনের ওপর ঢাকনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
মেসেঞ্জার/বিল্লাল/ফামিমা