ছবি: মেসেঞ্জার
তিতাসে ওমরপুর গ্রামের সোবাহান ভূইয়ার ছেলে কুয়েত প্রবাসি স্বপন ভূইয়াকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কিশোগ্যাং এর একটি গ্রুপ। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামে। জানা যায়, ওমরপুরস্থ ভূইয়া বাড়ী সংলগ্ন মোঃ জাকির হোসেনের দোকানের সামনে রাস্তায় ৩১ অক্টোবর আনুমানিক রাত ১০টায় ডেকে এনে বেদম প্রহারের মাধ্যমে স্বপনকে আহত করে একদল বখাটে যুবক।
আহত স্বপনকে প্রথমে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সবশেষে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ১৩ দিন পর মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ১২ অক্টোবর বিকেল ৪ টায় সে মারা যায়।
জানা যায়, কিশোরগ্যাং গ্রুপটি স্বপনের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। সে দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে ডেকে এনে মাদকের সাথে যুক্ত আছোস বলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। চার দফায় তাকে মারাধর করা হয়। এর আগে দুইবার স্বপনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে আসিফগংরা জানান স্বপনের চাচা জাকির হোসেন।
তিনি জানান, আমার দোকানের সামনেই তাকে খুব প্রহার করেছে। আমি বাঁচাতে পারিনি কারণ আমি একা। বাঁধা দিলে আমার দোকানে লুটপাট হতো। স্বপনের ৭ বছরের একজন ছেলে রয়েছে, তার স্ত্রী মরিয়ম আক্তার বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। কিছুদিন পর যে শিশুটি পৃথিবীতে আসবে, জন্মের পূর্বেই সে এতিম হয়ে গেলো।
ওমরপুর গ্রামের মোঃ নবী ভূইয়া জানান,ক্লাবের নাম করে খেলা, পিকনিক ও পার্টির জন্য বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করাই ছিলো এই গ্যাংয়ের মূল কাজ। তাছাড়া তারা প্রত্যকে মাদকাসক্ত।
কিশোর গ্যাং সদস্যদের মধ্যে নেতৃত্ব দিয়েছে ওমরপুর গ্রামের শান্তি মিয়ার ছেলে আসিফ। তার সাথে ছিলো সাইদুল, রাহিম বাবু, সাইদুল, শাকিল, ইমনসহ ৫০-৬০ জন। এবিষয়ে স্বপনের বোন আয়েশা আক্তার বাদী হয়ে ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫/২০ জনকে আসামী করে তিতাস থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
এবিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। আসামি গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মেসেঞ্জার/সাগর/ফামিমা