ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামকে হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তুলতে পরিচ্ছন্নতা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরের টাইগারপাস চসিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মিচেল লি’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ সহায়তা চান তিনি।
চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রীন ও হেলদি সিটিতে রুপান্তর করতে চান উল্লেখ করে মেয়র বলেন, পেশাজীবনে আমি চিকিৎসক হওয়ায় চট্টগ্রামকে হেলদি সিটি হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছি।আমার স্বপ্ন জনগণকে সাথে নিয়ে ক্লিন, গ্রীন, হেলদি চট্টগ্রাম গড়ব। এক্ষেত্রে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমকে বেগবান করার চেষ্টা করছি। কারণ নগর পরিচ্ছন্ন হলে মানুষের স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধি পাবে। এজন্য নগরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সিঙ্গাপুরের যে কোন বিনিয়োগ অথবা কারিগরি সহায়তা বা অভিজ্ঞতার আদান-প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
সিঙ্গাপুরের চার্জ ডি'অ্যাফেয়ার্স মিচেল লি’র বলেন, "বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সাথে সিঙ্গাপুরের ভৌগলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। চট্টগ্রামের পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।"
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নাগরিক সেবার জন্য ৮২ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬ টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। সিঙ্গাপুর এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া, নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত লরেন মেয়র।
সভায় চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সিঙ্গাপুরের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডাইরেক্টর ফ্রেন্সিস চং, সিনিয়র এসিস্টেন্ট ডাইরেক্টর ভেন এং সহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
মেসেঞ্জার/রিমন/এসকে/ইএইচএম