ছবি: সংগৃহীত
পর্যটন খাতের উন্নয়নের জন্য দুই শিফটে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে রেল চালুসহ উন্মুক্ত স্থানে বিনোদনকেন্দ্র স্থাপনে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
শুক্রবার (১৫নভেম্বর) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান।
চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে দুটো শিফটে রেল চালু করা গেলে মানুষ সহজে এ রুটে যাতায়াত করতে পারবে যেতে পারবেন। এতে শুধু রেলের উপার্জন নয়, বরং পর্যটন স্থানে যাতায়াত সহজ হবে। এতে সহজলভ্য বিনোদন স্থানে যেতে পেরে মানুষ উৎফুল্ল থাকবে এবং এ উদ্যোগে সাধুবাদ জানাবে।
চট্টগ্রাম নগর ঢেলে সাজাতে উচ্চ আদালতের নানা নিষেধাজ্ঞায় উপদেষ্টার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, বিপ্লব উদ্যান নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করতে সরকারের সহায়তা চাই। যখনই কোন সুন্দর উদ্যোগ নিতে চাই তখনই আইন ব্যবহার করে বাধা দেয় উচ্চ আদালত। এতে মননশীল নগর গড়তে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, বিপ্লব উদ্যানকে একটি সুন্দর পার্কে রূপান্তরিত করার ঘোষণা দিয়েছি আজকে। সেখানে একটি সবুজ পার্ক হবে। ওয়াকওয়ে হবে, মানুষ হাঁটবে, আড্ডা দেবে, অবসর সময় কাটাবে। এ ঘোষণার পর দেখা যাবে, এখানে পার্ক করা যাবে না এমন একটি অর্ডার আমাকে দিয়ে বসবে। আপনারা যেহেতু উপরের জায়গায় আছেন এ বিষয়গুলো একটু লক্ষ্য রাখবেন। যেন হাইকোর্ট থেকে এ ধরনের অর্ডার না আসে। আপনারা যদি বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখেন আমরা ভালো কিছু করতে পারি।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য সেবায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে মেয়র বলেন, দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনেই মেমন হসপিটালকে ডেঙ্গুর ম্যানেজমেন্ট সেন্টার ঘোষণা করেছি। সেখানে বিনামূল্যে এন্টিজেন টেস্ট করানোর ব্যবস্থা করেছি। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০ টি বেড রেখেছি। দ্বিতীয় দিনে বিপ্লব উদ্যানের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। আর যদি কেউ করতে চায় সেটা ঐক্যবদ্ধভাবে রোধ করব।
ঐতিহ্যবাহী আগ্রাবাদ ঢেবার পাড় অবৈধ দখলের হাত থেকে রক্ষা করতে চসিকের সঙ্গে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ঢেবার পাড়ে রেলের জায়গায় কিছু লোক দখল করে রেখেছে। সেখানে যদি ট্রান্সফোর্স করে সেনাবাহিনী, পুলিশকে ইনভলভ করে দখলদারদের উচ্ছেদ করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে করতে পারি তবে এলাকার মানুষ অবসর সময় কাটানোর জায়গা পাবে। আমি আপনাকে স্পষ্ট বলতে চাই, আমাদের সাথে কাজ করে দেখেন। পলোগ্রাউন্ড মাঠ রেলের জায়গা। কিন্তু সেখানে সারা বছর মেলাসহ নানা আয়োজন থাকে। এর ফলে ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারে না। ওই মাঠ শুধু খেলার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে চাই। আমার মনে হয় আমাদের খেলার মাঠ নেই।
মেসেঞ্জার/রিমন/এসকে/ইএইচএম