ছবি : মেসেঞ্জার
বগুড়া দুপচাঁচিয়ায় গৃহবধূ উম্মে সালমা খাতুনকে হত্যা করে ডিপ ফ্রিজে রাখার ঘটনায় নতুন মোড়ে গ্রেপ্তারকৃত জড়িত ভাড়াটিয়াসহ গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনের মধ্যে দুইজনকে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে এই তিনজনকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে আসামি মোসলেম এই হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয় এবং হত্যাকান্ডে জড়িত আরও ২ জন মাবিয়া ও সুমনের নাম বলে। মোসলেম জানায়, তারা মোট ৩ জনই উম্মে সালমা খাতুনের হত্যা ঘটনায় জড়িত। তাদের সাথে আর কেউ ছিলনা।
বগুড়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, উম্মে সালমা খাতুন হত্যাকাণ্ডে ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমান জড়িত ছিল না। তাদের বাসার ভাড়াটিয়াসহ ৩ জন হত্যাকাণ্ডে জড়িত। জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদেরকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাদের দেয়া জবানবন্দি ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করে মোসলেমকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন এবং অপর ২ আসামি মাবিয়া ও সুমনকে ২ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে হত্যাকান্ডের শিকার উম্মে সালমা খাতুনের স্বামী মাওলানা এসএম আজিজুর রহমান জানান, তার ভাড়াটিয়া মাবিয়া বিভিন্ন অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলো। বিষয়টি তার স্ত্রী টের পেয়ে তাকে বাড়ি ছাড়তে বলে। এতে সে প্রতিহিংসামূলক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রীকে হত্যা করিয়েছে। তার ছেলে সাদ বিন আজিজুর এই হত্যাকান্ডের সাথে কখনোই জড়িত থাকতে পারে না বলে তার বিশ্বাস।
অপরদিকে, এর আগে মা সালমা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করে ৩ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। র্যাব ১২ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং ছেলেই তার মা সালমা খাতুনকে হত্যা করেছে বলে জানান কোম্পানি কমান্ডার।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তারেক