ছবি : মেসেঞ্জার
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে সাবেক ইউপি সদস্যকে বেধড়ক মারধর করে হাত পা ভেঙে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনার ওই ইউপি সদস্যের ছেলে ফয়সাল হক বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ করেছেন।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা খন্দকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুস সাকিব সজিব।
আহত সাবেক ইউপি সদস্যের নাম রেজাউল ইসলাম (৫৫)। তিনি রমনা মডেল ইউনিয়নের পাত্রখাতা খন্দকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। গুরুতর আহত হওয়ায় চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এঘটনার ঘটনায় সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে ফয়সাল হক ঘটনার দিন বিকেলে তিন জনকে আসামী করে চিলমারী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন, মোছা. হেলেনা বেগম (৪২), মো. হিমেল মিয়া (২২), মো. রিয়াদ মিয়া (২০)। সকলেই একই এলাকার বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্যের ছেলে জানান, উপজেলার রমনা ইউনিয়নাধীন পাত্রখাতা খন্দকারপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম আঞ্জু’র সাথে প্রতিবেশী হামিদুল ইসলামের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল।
এরই জের ধরে রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রেজাউল ইসলাম বাড়ীর পাশ্ববর্তী খয়বর আলী মেম্বারের বাড়ী সংলগ্ন আবাদী ধানক্ষেত দেখে বাড়ী ফেরার পথে অভিযুক্তরা তাদের বসত বাড়ী সংলগ্ন কাচা রাস্তায় বাঁশের লাঠি, লোহার রড, পাইপ, ধারালো ছোরা নিয়ে পথরোধ করে মারধর করতে থাকে।
তাদের অস্ত্র দিয়ে করা আঘাতে ইউপি সদস্য রেজাউল ইসলামের বাম হাতের দুই জায়গা, ডান পায়ের হাটুর নিচ এবং ডান হাতের আঙ্গুল ভাঙ্গাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চিলমারী হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার বেগতিক হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ওসি মো. নাজমুস সাকিব সজিব বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আসামী ধরার চেষ্টা চলছে।
মেসেঞ্জার/রাফি/তারেক