ঢাকা,  শুক্রবার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

রাজউকের কম্পিউটার অপারেটরের সিরাজগঞ্জে দৃষ্টিনন্দন ৬ তলা বাড়ি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ১৯ নভেম্বর ২০২৪

রাজউকের কম্পিউটার অপারেটরের সিরাজগঞ্জে দৃষ্টিনন্দন ৬ তলা বাড়ি

ছবি : মেসেঞ্জার

রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) যেন কোটিপতি বানানোর এক কারখানায় পরিণত হয়েছে। এখানে চাকরি করে রাতারাতি ঘুরে যায় ভাগ্যের চাকা। বড় পদ নয়, সামান্য নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করেও কোটিপতি বনে গেছেন সিরাজগঞ্জের আবু তাহের।

স্বল্প বেতনের চাকরি করে সাধারণ জীবনযাপনের কথা তার। কিন্তু তিনি রীতিমতো রাজা-বাদশাহ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। আবু তাহেরের বাড়ি সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মাছুমপুর (উকিলপাড়া)। রাজউকে চাকরি পেয়ে নিজ জেলায় গড়ে তুলেছেন দৃষ্টিনন্দন (৬ তলা) বাড়ি। শুরু সিরাজগঞ্জেই না ঢাকায় ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। সামান্য বেতনের চাকরি করে চলাচল করে নামিদামি বিলাসবহুল গাড়িতে।  

তবে, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, রাজউক উত্তরা শাখার নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর আবু তাহের অবৈধ অর্থের জোরে গড়ে তুলেছেন আলিশান বাড়ি। দীর্ঘ অনুসন্ধানে রাজউকের এই কর্মচারীর অঢেল অর্থবিত্তের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। আবু তাহের সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্দাইল ইউনিয়নের গান্দাইল উত্তরপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন (মুন্সি) এর ছেলে। আবু তাহের নিজ জন্মভুমিসহ ঢাকায় ৩টি বিয়ে করেছেন।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শহরের পৌরসভার মাছুমপুর উকিলপাড়ায় (বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুন্টুর) কাছ থেকে ২০২০ সালে ১ কোটি টাকায় ৫ শতক জায়গা ক্রয় করেন। সেই জায়গায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে (৬ তলা) দৃষ্টিনন্দন আলিশান বাড়ি তৈরী করেছেন। এই দুর্নীতিবাজ কর্মচারী বর্তমানে রাজউক উত্তরা শাখায় কর্মরত আছেন।

শুধু সিরাজগঞ্জেই না। রাজধানীসহ গ্রামের বাড়িতেও অঢেল সম্পদ রয়েছে তার। আবু তাহেরের পুরো পরিবার অভিজাত জীবনযাপন করে। চলাচল করেন বিলাসবহুল গাড়িতে। বর্তমানে জায়গাসহ বাড়ির মূল্য ৪ কোটি টাকারও বেশি। সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত ভবনে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রহরী ছাড়াও সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য রয়েছেন আবু তাহেরের বড় বউ। ভবনের সামনে ঝুলছে ‘টু-লেট’ সাইনবোর্ড।

সূত্র জানায়, আবু তাহের আগে রাজউকের দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মী ছিলেন। পরে উত্তরা শাখার নিম্নমান সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে তৃতীয় শ্রেণির চাকরি হয়। তার পর থেকেই আবু তাহেরের কপাল খুলে যায়। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। অঢেল সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে আবু তাহের বলেন, আমার বাবার সম্পত্তি বিক্রি ও ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এই বাড়ি নির্মাণ করেছি।

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর লিয়াজোঁ অফিসার মাহফুজ রেজা বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম একজন কম্পিটার অপারেটরের অঢেল সম্পর্দের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেসেঞ্জার/রাসেল/তারেক