ঢাকা,  শনিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

কর্ণফুলীতে আগুনে ৫ দোকান পুড়ে ছাই 

কর্ণফুলী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কর্ণফুলীতে আগুনে ৫ দোকান পুড়ে ছাই 

ছবি: প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি ফলের দোকান,একটি মোবাইলের দোকান, একটি সিএনজি ওয়ার্কসপ, ২টি কুলিং কর্ণারসহ মোট ৫টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ২০-২২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মো. বাদশাহ, মো. বেলাল, ছোটন দে,  পেয়ার আহমদ,  নুরুল আকতার। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে মইজ্জ্যারটেক মো. বাদশার ফলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রাপাত হয়ে মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনে সূত্রপাত্র সঠিক কারণ জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ও ব্যবসায়ীদের দাবি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত্র হয়। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন মশার কয়েল থেকে আগুন লাগে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদার মো. বেলাল বলেন, রাতে দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ রাতে কল আসে দোকানে আগুন লেগেছে। পরে এসে দেখি সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেল। ধার-কর্য করে দোকান দিয়েছি, এখানে আমার প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সিএনজি ওয়ার্কসপের মালিক ছোটন দে বলেন, আমি ওয়ার্কসপের দোকান করে কোনোমতে ঘরসংসার চালাই। এখন সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঋণ করে দোকানটি দিয়েছিলাম। এতে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে কর্ণফুলী ফায়ার স্টেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা অভি বড়ুয়া বলেন, খবর পেয়ে আমাদের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত্র বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনো কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখন নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

মেসেঞ্জার/আকাশ/এসকে/ইএইচএম