ছবি : মেসেঞ্জার
হাতিয়ায় জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নফিজা খাতুন (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী নূর নবীর বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকালে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধায় উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড উত্তর বেজুগালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, বৃদ্ধা নজিফা খাতুনের সাথে প্রতিবেশী নূর নবীর জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মামালা চলমান রয়েছে। ঘটনার দিন বিকেলে নুর নবী জোর পূর্বক নফিজা খাতুনের পুকুরে সেচ পাম্প দিয়ে পানি সেচ দিতে থাকে।
তখন নজিফা বাঁধা দিতে গেলে নুর নবী সংবদ্ধভাবে তাকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। তার মেয়েরা তাকে রক্ষা করতে আসলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। পরে তাদের চিৎকারে আশ পাশের লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
অভিযুক্তরা হলেন, তমরদ্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড উত্তর বেজুগালিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাদীর ছেলে মো. নুর নবী (৪২), স্ত্রী কহিনুর বেগম (৩৭), মেয়ে লুবনা বেগম (১৮), একই গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে মো. ফারুক (৩০) এবং আব্দুল করিমের ছেলে মো. সুমন (৩৫)।
বৃদ্ধার মেয়ে শাহানারা বেগম বলেন, নূর নবী আমাদের জায়গা তার নামে রেকর্ড করে নিয়ে যায়, আমরা এ রেকর্ডের বিষয়ে মামলা করেছি। আমার কোন ভাই না থাকায় এই নুর নবী আমার মা এবং বোনদের উপর অনেকবার হামলা করেছে। আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে সে কোন বিচার তোয়াক্কা করতো না।
মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয়ে আমার বোনের জামাইরা শশুর বাড়িতে আসতে পারেনা। আমাদের অভিভাবক না থাকায় আমরা সমাজে কোন বিচার পাইনি। এমন কি এক বছর আগে জায়গা দখল করতে আসলে আমার স্বামী বাঁধা দিতে গেলে তারা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। আঘাতের কারণে সে মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে পেলে। আমার স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমি সর্বশান্ত হয়ে গেছি।
অভিযোগের বিষয়ে নুর নবী বলেন, আমি আমার পুকুর সেচ দিতে পাম্প মেসিন বসিয়ে ছিলাম, নজিফা সেখানে গিয়ে গর্তে পড়ে গিয়েছে, আমরা কেউ তাকে মারিনি। হাতিয়া থানা ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, বৃদ্ধা নজিফা খাতুনের অভিযোগটি পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেসেঞ্জার/রাসেল/তারেক