ঢাকা,  শনিবার
২৩ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

মরিয়মনগর ডিসি সড়ক প্রশস্তের দাবী উঠলেও বাস্তবায়ন হয়নি ১৬ বছরেও

রাঙ্গুনিয়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:১৯, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

মরিয়মনগর ডিসি সড়ক প্রশস্তের দাবী উঠলেও বাস্তবায়ন হয়নি ১৬ বছরেও

ছবি : মেসেঞ্জার

রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৬ ইউনিয়নের লাখ লাখ মানুষের চলাচলের অন্যতম প্রধান মাধ্যম মরিয়মনগর ডিসি সড়ক। মরিয়মনগর চৌমুহনী থেকে ইসলামপুর গাবতল পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। একসময়ে সড়কটি ছিলো কাঁচা, ছিলো খানাখন্দে ভরা। সড়কটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে, পিচঢালা, ড্রেন ও বেশকিছু কালভার্ট করা হয়েছে। কিন্তু সড়কটি সরু থেকে প্রসস্তের দাবী উঠলেও বাস্তবায়ন হয়নি গেল ১৬ বছরেও। 

জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার  দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম এ সড়কটি। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, রাজানগর, দক্ষিণ রাজানগর, ইসলামপুর, লালানগর ও হোছনাবাদের দেড় লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করেন।

প্রতিদিন চলাচল করে ট্রাক, অটোরিকশা, মাইক্রো, হাইস, রিকশা, মোটরসাইকেল। এমনকি যাত্রীবাহী বাস সার্ভিসও ছিলো এই সড়কে। এছাড়া উত্তর রাঙ্গুনিয়ার প্রায় অর্ধ শত ইটভাটায় যাতায়াত করে শত শত দ্রুতগামী চাঁদের গাড়ি। চলাচলের জন্য বহুল গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মাত্র ১২ ফুট প্রসস্ত।

তার উপর সড়কের বিভিন্নস্থানে শান্তিনিকেতন, মোগলের হাট, আলমশাহপাড়া, ধামাইরহাট, গাবতলসহ বেশ কয়েকটি বাজার রয়েছে। বন্যায় সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে, উভয় পাশে দোকানপাট ও নানা স্থাপনা সড়কের উপরে এসে ১২ ফুটের এই সড়ক কোন কোন জায়গায় ১০ ফুটেরও কমে এসে ঠেকেছে। তাই সড়কটি প্রসস্তের দাবী দীর্ঘদিনের। 

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০০৮ সাল থেকে ১৬-১৮ বছরে ৫-৬ বার সংস্কার কাজ করা হয়েছে এই সড়কে। কিন্তু বেপরোয়াভাবে ভারী যানবাহন চলাচল করায় সড়ক দ্রুত ভেঙে যায়। সর্বশেষ ২০২০ সালের দিকে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে পিচঢালা, ড্রেনেজ, বিভিন্ন বাজার এলাকায় আরসিসি ঢালাই, একাধিক ব্রীজ-কালভার্ট করে সংস্কার করা হয়েছিলো।

তখন উত্তর রাঙ্গুনিয়ার মানুষ আশাই বুক বেঁধেছিল সড়ক দ্বিগুণের। কিন্তু সড়কটি আর প্রসস্ত করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবী বছর দুয়েক আগে এটি প্রসস্ত করে ১৮ ফুট করার জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, সড়কটি গাড়ির চাপের তুলনায় সরু হওয়ায় দুটি গাড়ি পাশাপাশি কাটাতে গিয়েও সমস্যা হয়। সর্বশেষ সংস্কারকালে ফুটপাত অংশ ভরাট না করায় পাশ থেকে সড়ক ভেঙে ভেঙে পড়ছে। এছাড়া সড়কের পাশ ঘেঁষে বাজার, গাড়ির স্টেশন এমনকি বিভিন্ন বাজার এলাকায় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়।

একই কারণে প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এ কারণে দ্বিগুণ ভাড়াও হাঁকেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশাচালকেরা। তাই জনস্বার্থ সড়কটি প্রসস্ত করা এখন সময়ের দাবী। এই ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, এই সড়কটি 'জেলা সড়ক উন্নয়ন' প্রকল্পে দেওয়া আছে। মাঝখানে দেশের পট পরিবর্তনের জন্য এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করি দ্রুত এটি বাস্তবায়ন হবে।

মেসেঞ্জার/ইসমাঈল/তারেক