ছবি : মেসেঞ্জার
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের যমুনা সরকার পাড়া কালী মন্দিরের পাঁচটি মূর্তি ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করছেন মন্দির কমিটির লোকজন।
জানা গেছে, কালী পুজা উপলক্ষে কালী মন্দিরের সামনে মূর্তি বানানোর কাজ শুরু করেছেন মন্দির কমিটির লোকজন। বিকেল পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার দিকে মন্দিরের গেটে তালা দিয়ে বাড়িতে যান সবাই।
সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাখাল নামের এক ব্যক্তি মন্দির এর সামন দিয়ে গেলে দেখেন যে মন্দিরের বাহিরে থাকা মহাদেবসহ কয়েকটি মূর্তি ভাঙচুর অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিলে মন্দিরের আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উলিপুর থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান।
এসআই আনিস, ৩নং দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম সাঈদ। বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি ডাক্তার আব্দুল কাদের শামীম। জনতা হাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সহিদুর রহমান। দুর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হায়দার আলী।
পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি নিতাই লাল সরকার। ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনিছুর মিয়া। এবং বিএনপি'র বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন এবং দুর্গাপুর ইউনিয়ন শাখার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সহ আরো অনেকে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
যমুনা সরকার পাড়া মন্দির কমিটির সভাপতি নিতাই লাল সরকার বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়েও এই মন্দিরসহ আমাদের এলাকায় পূজার্চনা চলেছে। আমাদের এলাকায় কখনোই মূর্তি ভাঙার ঘটনা ঘটেনি। মন্দির কমিটির লোকজন জানিয়েছে ওই মন্দিরে একটি সিসি ক্যামেরা ছিল এবং সেটির নিয়ন্ত্রণ সৌরভ নামের এক হিন্দু যুবকের কাছে ছিল। বর্তমেনে সিসি ক্যামেরাটি মিসিং রয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের ব্যবসায়ী মো. মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিবেশ অস্থিতিশীল করতে এবং সাধারণ হিন্দুরের মনোবল ভাঙতে দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।যাতে আগামীতে দূর্গা পুজা করার সময় এমন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই আমি আমার এলাকার পক্ষ থেকে এর সুষ্ঠু বিচার চাচ্ছি।
উলিপুর থানার কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিল্লুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলমান বলে জানান। এবং মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করার কথা বলা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মেসেঞ্জার/শাহিনুল/তারেক