ছবি : মেসেঞ্জার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা সুপারির রাজধানী হিসাবে পরিচিত। চাষীরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় দিন দিন বাড়ছে সুপারির উৎপাদন। এখানকার উৎপাদিত সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে।
সুপারির চাহিদা ও দাম ভালো থাকায় সুপারি চাষে আগ্রহও বাড়ছে কৃষকদের। অন্যান্য ফসলের চাষাবাদের মত ঝুঁকি না থাকায় সুপারি চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছেন বেশির ভাগ কৃষক। এবার প্রায় দুই কোটি টাকার সুপারী উৎপাদনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রায়পুরে বর্তমানে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে সুপারি বাগান রয়েছে। সুপারি গাছ একবার রোপণ করলে তেমন কোনো পরিচর্যা ছাড়াই টানা ২৫-৩০ বছর ফলন দেয়। প্রতি হেক্টরে প্রায় আড়াই থেকে তিন মেট্রিক টন সুপারী উৎপাদন হয়।
২৮’শ থেকে ৩১’শ টাকা প্রতি কাওন (১৬ পোন) সুপারি বিক্রি হয়। সে অনুযায়ী যার বাজার মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৫’শ কোটি টাকা। অথচ ২০২৩ সালে প্রতি কাওন সুপারি বিক্রি হয়েছে ১৭’শ টাকা থেকে ২২’শ টাকা পর্যন্ত। এবার প্রতি কাওন সুপারিগত বছরের চেয়ে ৯’শ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
২০২৩ সালের চেয়ে দামও অনেক বেশি। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবং আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় দিন দিন এই অঞ্চলে সুপারি উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা।
সুপারি বাগানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কিংবা রোগ-বালাই কম থাকায় এ অঞ্চলের কৃষকরা সুপারি চাষের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানায়, সুপারি গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে খরচ কম, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কিংবা রোগ-বালাই কম থাকায় কৃষকরা সুপারি চাষের দিকে দিন দিনেই বেশি ঝুঁকছেন।
ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে রায়পুরে সুপারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেও আশা করেন এ অঞ্চলের মানুষ। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন বলেন, এবার প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মেট্রিক টন সুপারি উৎপাদন হয়। যার বাজার মুল্যে নির্ধারন করা হয়েছে ৫’শ কোটি টাকা।
দিন দিন সুপারি চাষীরা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে এবং ফলন ভালো হচ্ছে। ফসল উৎপাদনে সুপারি চাষের মাত্রা বাড়ছে দিনদিন। লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। কৃষি বিভাগ থেকে প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/সুমন/তারেক