দ্রব্যমূল্য যেন কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটে বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন পণ্যের দাম। তাই জনগনের দূর্ভোগ কমাতে ন্যায্য মূল্যে পণ্য সরবরাহ করতে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করেছেন সরকারের একজন যুগ্ন সচিব। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ) কাজী আবেদ হোসেন নামের এই যুগ্ম সচিব দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মডেল উদ্ভাবন করেন। এর আগে প্রজননের সময় ইলিশ মাছ না ধরার মডেল সৃষ্টি করেন এবং তা বাস্তবায়ন হলে ২০০৯ সালে জাতীয় স্বর্ণপদক লাভ করেন এই আমলা।
তার এই মডেলকে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর পর তা বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে পাঠানো হয় মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে। সেখান থেকে গত ১৫ অক্টোবর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এরপর তা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে কাজী আবেদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের কাছে তার এই মডেলে সাধারণ মানুষের হাতে কিভাবে কমমূল্যে সহজভাবে পণ্য পৌঁছাতে পারে সেজন্য অন্তত ৫০ টি রুপরেখা তুলে ধরেন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রেণে তার এই মডেলটিতে সরকারের অর্থ ব্যয় হবেনা। এছাড়া অতিরিক্ত জলবলেরও প্রয়োজন হবেনা বলেও জানান তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, তার এই রুপরেখা বাস্তবায়ন হলে ৬৪ জেলা ও বিভাগীয় শহরে দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত হবে। তিনি তার রুপরেখায় প্রান্তিক কৃষকদের জন্য প্রয়োজনীয় ডিজেলের মূল্য কমানো, কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে উপজেলার নির্দিষ্ট স্থানে সিসি ক্যামেরার আওতায় কৃষি ভর্তুকি প্রদান, প্রত্যেকটি উপজেলায় ইউএনও অফিসের সকল কর্মকর্তা বাজারের সংগৃহীত খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে প্রতিটি দ্রব্যের গড়মূল্য প্রস্তাব করবে এবং বানিজ্য মন্ত্রনালয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির একটি তালিকা করবে। এছাড়া দেশের প্রতিটি বাজারে দৃশ্যমান সাইনবোর্ড সরকারি দ্রব্যমূল্য প্রদর্শিত হবে এবং তা সিভিল পোশাকে বিছিন্নভাবে ক্রেতার বেশে মূল্য নিয়ন্ত্রণ মনিটরিং করবে। একইসাথে চাঁদাবাজি রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন সরকারের এই আমলা।
এটি দেশব্যাপী বাস্তবায়ন করা গেলে সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সফল হবেন এবং এটি সাধারণ মানুষের সহজ বোধগম্য ও তাৎক্ষণিক বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।সভাকক্ষে এই এই রুপরেখা দানের সময় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুনজিত কুমার চন্দ ও উপ সচিব মোঃ মাকরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/ আবুলহাসান/ইএইচএম