ঢাকা,  সোমবার
২৫ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

রাঙামাটিতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

সুপ্রিয় চাকমা, রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:১৮, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

রাঙামাটিতে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

‘সুপ্রদীপ চাকমা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর’ এমন উল্লেখ করে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পর্ষদ নিয়োগে স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার বিরুদ্ধে। কাউখালী, বরকল,জুরাছড়ি ও রাজস্থলী চার উপজেলা থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য অর্ন্তভূক্ত না করা এবং সদর উপজেলা থেকে ৯ জনকে সদস্য নিয়োগ দেওয়াসহ পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দরা।

রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে চার উপজেলা থেকে সদস্য নিয়োগ চেয়ে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সরকারের পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে হুশিয়ারি প্রদান করেন বক্তারা।

গত ৭ নভেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে জেলা বিএনপির সভাপতির বড় ভাই কাজল তালুকদারকে চেয়ারম্যান মনোনীত করে ১৫ সদস্যের নতুন পর্ষদ ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে পুনর্গঠিত পর্ষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা আপত্তি ও সমালোচনার ঝড় উঠে। জেলা পরিষদ পুনর্গঠনসহ কাউখালী, বরকল,জুরাছড়ি ও রাজস্থলী চার উপজেলা থেকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে সদস্য অর্ন্তভূক্ত না করার দাবি জানায় বিভিন্ন মহল।

বৈষম্য বিরোধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন বক্তারা বলেছেন, ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির স্বাক্ষরের পর থেকে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। তখন থেকে রাঙামাটির যে দশ উপজেলা থেকে রয়েছে তার প্রত্যেক উপজেলা থেকে প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হতো এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান ছিলো। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার ও সদস্য দেবপ্রসাদ দেওয়ান ছাড়া বাকি ১৩ সদস্যের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তোলা হয়।

সদ্য নিয়োগ পাওয়া পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সুবিধাভোগ, দলীয় পদবী, হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে সখ্যতা, সাবেক সহকর্মী ও সম্পর্কে দেবর-ভাবিকেও একই পরিষদে সদস্য মনোনীত করার অভিযোগ তোলা হয়।

পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন চেয়ে বঞ্চিত চার উপজেলা থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিয়োগ করা না হলে পরবর্তীতে কঠোর আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমাকে হুশিয়ারি দেন বক্তরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন,জুরাছড়ির বাসিন্দার পক্ষ থেকে রাঙামাটি জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজীব চাকমা, কাউখালীর বাসিন্দার পক্ষ থেকে তারা মিয়া, বরকলের বাসিন্দার পক্ষ থেকে পুলিন বিহারী চাকমা, অ্যাডভোকেট এমদাদ হোসেন, রাজস্থলীর  উথান মারমা ও ছাত্র আন্দোলনের নেতা রাকিব হাসানসহ অন্যান্য প্রমুখ।

মেসেঞ্জার/সুপ্রিয়/ইএইচএম