বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মেধাবী ছাত্র শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে কবর জিয়ারত ও পরিবারকে শান্তনা দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। সোমবার বিকালে শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়ি যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামে গিয়ে কবর জিয়ারত তিনি।
এ সময় তার সাথে ছিলেন শার্শা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুজ্জামান মধু, যুগ্ম আহবায়ক আবুল হাসান জহির, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ: সভাপতি নুরুজ্জামান লিটন, পৌর বিএনপির সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের ভারত, যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা, শহীদ আব্দুল্লাহ এর পিতা আব্দুল জব্বারসহ বিএনপির শার্শা উপজেলা ও বেনাপোল পৌর বিএনপির সহযোগী সংগঠনের কয়েক শত নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিএনপি নেতা অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন দেশ স্বাধীনের এত বছরেও আমরা গণতন্ত্র পাইনি। সাম্য ও ন্যায্যের জায়গায় দাঁড়াতে পারিনি, মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্বাসন হয়নি। সেদিন আমরা দেশ গঠনের কাজে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পৃক্ত করতে পারিনি, এটি ছিল অন্যায়। ২০২৪ সালের যোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক-বাহক। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ নিয়ে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে বিজয় এনেছে। এবার তাদের দেশ গঠনের কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে ভুল হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের সাথে আছে থাকবে। এ সময় সরকারের উচিত আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে তারেক রহমানের মাধ্যমে সরকারী প্রতিষ্টানের নাম শহীদ আব্দুল্লাহ নামে নামকরন করা হবে এবং সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন তিনি।
আব্দুল্লাহ আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। গত ৫ আগস্ট রাজধানীর তাঁতিবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আবদুল্লাহ। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ২২ আগস্ট তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে দীর্ঘ তিনমাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৪ নভেম্বর সকালে সে মারা যান।
মেসেঞ্জার/জামাল/এমএএন