ছবি: মেসেঞ্জার
ঝালকাঠির নলছিটিতে নদী দখল করে বাঁধ নির্মাণের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে স্থানীয়রা। উপজেলার কান্ডপাশা, নরউত্তমপুর, কুমারখালিসহ ৫ গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক এলাকাবাসী এই মানববন্ধন করে। এ সময় বক্তব্য রাখেন মরা নদীতে থাকা কিছু জমির মালিক জাকির হোসেন, স্থানীয় সমাজকর্মী বালী তাইফুর রহমান তূর্য, কৃষক মাসুদ হোসেন, ইজিবাইক চালক নাঈম হোসেন, মনির হাওলাদার, আল আমিন জোমাদ্দার সহ কৃষক, জেলে, সমাজকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রভাবশালী একটি মহল দাবি করে আসছে সুগন্ধা নদী সংলগ্ন কুমারখালি মরা নদী ২০১৮ সালের ১৪ এপ্রিল থেকে ১০ বছরের জন্য লিজ নিয়ে তাদের দখলে নিয়েছে এবং পার্শ্ববর্তী সুগন্ধা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত প্রায় ছয়টি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে মরা নদীর সঙ্গে সংযোগ খালগুলোতে জোয়ার-ভাটার প্রবাহ না থাকায় খালের পানি নষ্ট হয়ে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
আশেপাশের বাড়িঘরের নারী শিশুরা দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি পাচ্ছে না। কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পরেছে। উন্মুক্ত নদী দখলের কারনে কয়েক শত জেলে পরিবার বেকার হয়ে অত্যন্ত দুর্দশায় পরে গেছেন। কাগজে কলমে ১০৯ একর জলাভূমি লিজ নিলেও, ওই মহলটি ৩২০ একর জমি তাদের জবর দখলে রেখেছে।
আইন লংঘন করে অবৈধভাবে নদীতে বাধ দিয়েছে। তীরবর্তী ৪টি গ্রামের সাধারণ মানুষ ও জেলেদেরকে ওই নদী ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে ওই এলাকার শত শত মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বক্তারা কুমারখালি মরা নদী রক্ষায় লিজ বাতিল করে এলাকাবাসীর জন্য উম্মুক্তকরণসহ সকল বাধ অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানান।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: অহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোজঁ নিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কৃষি কাজে বাধার সৃষ্টি হলে সেই বিষয়ে সমাধানে আমরা কাজ করবো।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম বলেন, যারা ইজারা নিয়েছেন ও স্থানীয় জেলা ও কৃষকদের সাথে একটি বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। আমি জানতে পারি এই জল মহলের মাধ্যে বিভিন্ন কৃষকেরও জমি রয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বলা হয়েছে তাদের ডকুমেন্ট নিয়ে ডিসি স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে। সেই ডকুমেন্টও আমাদের কাছে এসেছে, আমরা তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। পাশাপাশি কৃষি কাজে বাধাঁ সৃষ্টি করে এমন কিছু থাকলে আমরা অপসারণ করে ফেলবো।
মেসেঞ্জার/সাইদ/তারেক