ছবি: মেসেঞ্জার
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র এবং চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের সাবেক অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছেন তার ভক্তরা। মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘বাংলাদেশ সংখ্যালঘু ছাত্র জনতা’র ব্যানারে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর নিঃশর্ত মুক্তিসহ আট দফা দাবির বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের অপরাজেয় ৭১ প্রাঙ্গণের দিকে এগিয়ে গেলে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে পুলিশ মিছিলটি আটকে দেয়। এ সময় সনাতনী সম্প্রদায়ের সঙ্গে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় ঠাকুরগাঁও সেনা ক্যাম্পের সিও’র গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী লাঠিচার্জ করে।
এ ঘটনায় কয়েকজন সেনা সদস্য, পুলিশ, সাংবাদিক এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ আহত হয়েছেন। পরে অভিযানে ১৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার তোরায়া গ্রামের সুজন রায় (২৪), নীলফামারী জেলার ডিমলার তাপস (২০), এবং ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার শিমুল কুমার দাসসহ আরও কয়েকজন রয়েছেন।
আটকদের সেনা ক্যাম্পে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সংঘর্ষের পর থেকে ঘটনাস্থল সংলগ্ন এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
স্থানীয় সনাতনী সম্প্রদায় জানিয়েছে, তাদের দাবিগুলো পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানা ও ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপারের সাথে যোগাযোগ করা হলে মোট ফোনে পাওয়া যায়নি।
মেসেঞ্জার/আরিফ/তারেক