ছবি : মেসেঞ্জার
সমতলের তুলনায় মৌলিক অধিকার সহ কমবেশি সবদিক দিয়েই পিছিয়ে আছে তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থাৎ পাহাড়ের বসবাসরত জনগোষ্ঠী। এ বৈষম্য দূরীকরণে এবং পাহাড়ের মানুষের স্বাভাবিক জীবনমান উন্নয়নে সরকারের কাছে পাঁচটি দাবি করেছেন "পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর কণ্ঠ" নামে একটি সংগঠন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাঙামাটি শহরে এক আলোচনা সভা শেষে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ দাবি উল্লেখ্য করে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খানের নিকট স্মারক লিপি হস্তান্তর করেন।
সংগঠনটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও সদস্য সচিব সিরাজুম মুনির জিয়াদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটির লংগদু উপজেলার বিভিন্ন দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন। শিক্ষা, চিকিৎসা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুক পরিস্থিতির আভাস দেন এ বিজ্ঞপ্তিতে।
উপজেলার বসবাসকারী প্রায় এক লক্ষ আশি হাজার পাহাড়ি বাঙালির দৈনন্দিন যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম সড়ক পথে বেহাল দশার বর্ণনা দেন। মুমূর্ষু রোগী থেকে শুরু করে সার্বিক দিক বিবেচনায় পাহাড়ের গণমানুষের দাবিগুলো তুলে ধরেন তারা।
দাবিগুলো হলো, লংগদু উপজেলা হতে নানিয়াচর উপজেলার সংযোগ রাস্তাটিতে বিভিন্ন স্থানে মাটি কাটা ও ভরাট করে যান চলাচলের উপযোগী করা, লংগদু থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য মাইনীমূখ ফরেস্ট অফিস থেকে কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়নের রশিদপুর পর্যন্ত ড্রেজিং করা এবং ভরাট করে রাস্তা নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা, মাইনীমূখ লঞ্চঘাট হতে তিনটি ইউনিয়নের (বগাচতর, গুলশাখালী ও ভাসান্যাদম) সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য সেতু নির্মাণ, লংগদু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা এবং মাইনীমূখ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাইনীমূখ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে পরিত্যক্ত ভরাটকৃত জায়গা খেলার মাঠ হিসেবে অনুমোদন দেওয়া।
এ দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেছেন সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ। এসময় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ মাহমুদ, তারেক আজীজ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, লংগদু থেকে নানিয়াচর পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণের জন্য উপজেলাবাসী একাধিকবার মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন সহ প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। দু-একবার কাজের উদ্যোগ নিলেও অদৃশ্য কারণেই বন্ধ হয়ে যায় এ সড়কের কাজ। লংগদুবাসীর প্রাণের দাবি এ সড়ক।
মেসেঞ্জার/সাকিব/তারেক