ঢাকা,  বুধবার
২৭ নভেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

চড়া দামের আশায় আলু উৎপাদনে ঝুঁকছে গাইবান্ধার কৃষকরা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:২০, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

চড়া দামের আশায় আলু উৎপাদনে ঝুঁকছে গাইবান্ধার কৃষকরা

ছবি : মেসেঞ্জার

গাইবান্ধায় টানা দুই বছর ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। মূল্য নিয়ে নৈরাজ্যের কারণে উৎপাদনের হুজুগ উঠেছে কৃষকদের মধ্যে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি চাষি ঝুঁকছেন এ সবজি আবাদে।

কৃষকদের মতে এক বিঘা জমিতে ধান উৎপাদন করে দশ হাজার টাকাও লাভ হয় না। অন্যদিকে আলু চাষে সব খরচ মিটিয়ে বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। তাই কয়েক বছর ধরে গাইবান্ধায় বেড়েছে আলুর চাষ। তবে কৃষকদের অভিযোগ আড়ৎদারদের অসাধু সিন্ডিকেট ভরা মৌসুমে নিজেদের ইচ্ছামত মূল্য নির্ধারণ করে কম দামে আলু কিনে মৌসুম পরবর্তী সময়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দ্বিগুণ দামে বিক্রি করে।

গাইবান্ধা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের জেলার সাতটি উপজেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ হাজার ৩১৪ হেক্টর। এর মধ্যে অর্জিত হয়েছিল ১১ হাজার ১৫২ হেক্টর। এবছর জেলায় আলু চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ৩৬ হেক্টর।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফসলি মাঠে বিভিন্ন জাতের আলু রোপন করছেন কৃষকরা। জাতগুলো হচ্ছে বারি সেভেন, গ্যারুনুলা, বারি ৪৬, অজেটো, বারি ৫৪ (মিউজিকা), বারি ৯০ (এলয়েট), কুমারিকা সহ বেশ কিছু জাতের আলু চাষ করছেন কৃষকরা কয়েকটি ধাপে। কেউ হালচাষ করছেন, আবার কেউ জমি প্রস্তুত করতে ব্যস্ত।

কেউ সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ, বীজ আলু সংগ্রহ, পাশাপাশি রোপণও করছেন কৃষকরা। গোবিন্দগঞ্জের নাকাই ইউনিয়নের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এবছর ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। ২০২৩ সালের তুলনায় এবার সব কিছুই বেশি দামে কিনতে হয়েছে। যেখানে আগে বিঘাপ্রতি সব মিলিয়ে ১৫ হাজার টাকা খরচ হতো এখন ২০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আশা করছি প্রতি বিঘায় উৎপাদিত আলু ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব।

একই এলাকার কৃষক আব্দুল কাদের বলেন , গত বছর আমাদের এলাকায় সরিষার আবাদ বেশি করা হয়েছিল কিন্তু বছর জুড়ে আলুর দাম বেশি ছিল তাই সরিষা ও অন্যান্য ফসল থেকে কৃষকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়ে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

সদর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জিন্নাহ বলেন, দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা এবার আলুর আবাদে বেশি ঝুঁকছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি বছরে আলুর বাম্পার ফলন হবে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম বলেন, ২০২৩ সালের মতো চলতি বছরেও জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে আশা করছি। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

মেসেঞ্জার/সিয়াম/তারেক