ছবি: মেসেঞ্জার
মুন্সিগঞ্জ সদরের মিশুক চালক সিফাত হাওলাদার (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবারের স্বজনরা সহ স্থানীয় এলাকাবাসী। এ সময় লৌহজং থানা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ‘ধলাগাঁও এলাকাবাসী ও সর্বস্তরের জনগণ’ এর ব্যানারে এই মানববন্ধনে অংশ নেন অন্তত দেড় শতাধিক নারী,পুরুষ সহ স্থানীয়রা।
মানববন্ধনকারীরা অভিযোগ করে জানান,নিহত সিফাত রামপাল ইউনিয়নের ধলাগাও গ্রামের মো. আলমগীর হাওলাদারের (৫২) ছোট ছেলে। ৩ বছর আগে লৌহজং উপজেলার গাওদিয়া ইউনিয়নের বনসেমন্ত গ্রামের মো.আনোয়ার পোদ্দারের বড় মেয়ে জান্নাত আক্তারের (২২) সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয় সিফাতের।
পরে পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় তাদের। গত ৮ নভেম্বর শুক্রবার সিফাত শ্বশুর বাড়িতে যায়। সেখান থেকে ৯ নভেম্বর ভোর ৪টায় সিফাতের ফাঁসি দিয়েছে বলে খবর দেয়া হয় পরিবারকে। পরে পরিবারের লোকজন সেখানে গেলে নিহতের মরদেহ মাটিতে শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পায়। সেখানে সিফাতের শরীরে আঘাতে চিহ্ন দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
নিহত সিফাতের বড় ভাই মো. সাদেক অভিযোগ করে বলেন,স্ত্রী সহ শশুড়বাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে সিফাতকে। এ ঘটনায় লৌহজং থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
তবে মামলা না নেয়ার অভিযোগটি সঠিক নয় জানিয়ে লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন,নিহত ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধারের পর পরিবারের কাছ থেকে কোন অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও ময়নাতদন্ত করে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে ঘটনার এক মাস পর পরিবারের লোকজন থানায় এসে হত্যা মামলা দায়ের করবেন বলে জানান। তারা যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় বা মামলা করতে চায় সেটি গ্রহণ করা হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে কোন গাফিলতি বা আপত্তি নেই।
মেসেঞ্জার/শুভ/তারেক