ছবি : মেসেঞ্জার
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সম্প্রতি উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনার আওতায় প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে সেই বিনামূল্যে বিতরণের বীজ দোকানে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানাহাট বাজারের রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দোকানগুলোতে ভুট্টার বীজ বিক্রি হতে দেখা গেছে। এসময় বিক্রি হওয়া সেই ভুট্টার বীজের প্যাকেটের গায়ে 'কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচী/২০২৪-২৫ বিক্রয়ের জন্য নহে' লেখা পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ক্রেতা জানান, রোববার রাতে থানাহাট বাজারের এক দোকান থেকে ভুট্টার বীজ কিনতে গেলে সরকারি বীজ পাওয়া যায়। পরে তিনি দোকান থেকে বীজ কিনে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তিনি বলেন, সরকারি বীজ দোকানে কেনো জানতে চাইলে ব্যবসায়ী উত্তরে বলেন, কর্মকর্তাদের থেকে নিয়েছেন।
সরেজমিনে সোমবার (২ ডিসেম্বর) সেই দোকানে গেলে বিষয়টি সত্য নয় বলে দাবি করেন ওই ব্যবসায়ী। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় উপজেলার ৩ হাজার ৭৪৫জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ শুরু হয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন জনের এনআইডির ফটোকপি জমা নিয়ে যাদের মাঝে প্রণোদনার সার ও বীজ বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে অনেকেই তার বরাদ্দের সার ও বীজ বাজারের বিভিন্ন কীটনাশকের দোকানগুলোয় কম দামে বিক্রি করছেন। এদিকে মাঠ পর্যায়ে অনেক কৃষক বরাবরই প্রণোদনার আওতাভুক্ত হতে পারেন না।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, থানাহাট বাজারের বেশ কয়েকটি রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের দোকানগুলোতে সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার বিক্রি হচ্ছে । তবে সচেতন ব্যক্তির উপস্থিতি বুঝতে পারলে তারা এবিষয়গুলো এড়িয়ে চলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সংগঠক আব্দুর রহমান পারভেজ বলেন, থানাহাট বাজারের অধিকাংশ দোকানে দেখা যায় সরকার অনুমোদিত ভুট্টা বীজসহ সরকারী পণ্য যা বিক্রির জন্য নয় সেগুলো বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে দোকানদারদের কাছে প্রশ্ন করলে তাঁরা বলেন, এসব পণ্য কৃষকরা আমাদের কাছে বিক্রি করে, তা আমরা ক্রয় করে নেই। তিনি আরও বলেন, অনেকে অধিক নাম দিয়ে পণ্য উঠিয়ে পরবর্তীতে বিক্রি করে দেয় দোকানিদের কাছে । তাই যাচাই বাচাই পূর্বক কৃষকদের কাছে পণ্য দেওয়ার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে আহ্বান জানান।
এবিষয়ে চিলমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস জানান, সরকারি বীজ সার দোকানে কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। এর সঙ্গে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
মেসেঞ্জার/রাফি/তুষার