ছবি : মেসেঞ্জার
মৃত পুলিশ সদস্যের পরিবারকে পেনশনের টাকা দেওয়া হবে বলে তদন্ত করতে এসে কাশেম আলী (২৫) নামের এক সেনাসদস্যের ভুয়া পরিচয়দানকারীকে জনতা আটক করে সেনাবাহিনী ও পুলিশে সোর্পদ করেছেন।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মুরইল বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। ভুয়া সেনাসদস্য কাশেম আলী সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমভাগ তেরাগুলি গ্রামের মৃত মিদ্দির আলীর ছেলে। এ ঘটনায় আদমদীঘির পুশিন্দা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য ফারুক আহমেদ বাদি হয়ে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার (২ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার মুরইল বাসায় তার সাথে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য ফারুক আহমেদ গল্প করার সময় কাশেম আলী নামের ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের একটি ছবি দেখিয়ে বলেন এই লোক পুলিশ বাহিনীতে চাকরি করতেন।
তিনি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী পেনশনের কিছু টাকা পেয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা দেওয়ার জন্য আমি তদন্ত করতে এসেছি। তদন্ত শেষে তিনি পেনশনের টাকা পাবেন। এমন কথায় তাদের সন্দেহের সৃষ্টি হলে ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য ফারুক আহমেদ কাশেম আলী নামের যুবককে আটক করে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে ও থানায় খবর দেন।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সেনাবাহিনীর সদস্য নন বলে স্বীকার করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানান, মূলত তিনি প্রতারণা করার জন্য এলাকায় এসেছিলেন। এসময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর আর্মি ট্রাউজার, আর্মি কমান্ড গেঞ্জি, মুজাসহ নানা সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। আজ সোমবার (২ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মেসেঞ্জার/আলমগীর/তুষার