ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় নিজের অপর্কম ঢাকতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ও টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন। জমি হারাচ্ছে কৃষক, গড়ে উঠেছে চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার ভূমিদস্যু চক্র শিনোরামে সংবাদ প্রকাশ হলে সেই সংবাদের প্রতিবাদে তিনি তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনের সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও গয়াবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক ইয়াসিন আলী বসুনিয়াকে। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম।
তবে তিস্তার চর ঘুরে জানা যায়, উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর খড়িবাড়ী গ্রামের খাস খতিয়ানভূক্ত, ভারতগামী হিন্দু সম্প্রদায় ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলো চরখড়িবাড়ী, উত্তর খড়িবাড়ী ও দক্ষিণ খড়িবাড়ী গ্রামের এক হাজার কৃষক দীর্ঘদিন যাবত চাষাবাদ করে আসছে।
হাসিনা সরকার দেশ ত্যাগের পরপরই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম সাহিন ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইয়াসিন আলীর জোগসাজোসে ১৩৫ সদস্যবিশিষ্ঠ কাগজ যাচাই-বাছাই বোর্ড ও সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নদীর বুকে ভেসে উঠা চরের ৩০০ একর জমি রাতারাতি বেদখলে নেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সঠিক কাগজপত্র যাচাই-বাছাই বোর্ডের কাছে দেখানো হলেও মিলছে চাষাবাদের জমি। আবার সেই জমি প্রকৃত মালিককে ছাড়াই লিজ দেওয়া হচ্ছে তাদের পছন্দের মানুষকে এবং হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এতে একদিকে কৃষকরা চাষাবাদের জমি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে তাদের হারাতে হচ্ছে জমি লিজের টাকা। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চর গ্রামের হাজারো কৃষক। জমির সিমানা নির্ধারণের জন্য একর প্রতি এসব নেতারা নিচ্ছে ২ হাজার টাকা। এদিকে, জমি উদ্ধারের জন্য গ্রাম আদালত, থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে বিচার দিয়েও মিলছেনা কোনো সমাধান। অনেক বিএনপির নেতাকর্মীদের নিজের জমিতে উঠতে গেলেই হতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের দোসর।
যে সকল সাংবাদিক তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন তাদের উদ্দেশ্য করে ওই সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা রবিউল ইসলাম শাহিন বলেন, 'জনগণের সামনে আমাদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসররা নানাভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
মূলত স্বৈরাচারী সরকারের শাসনামলে তাদের দোসররা ইউনিয়নের গরিব অসহায় কৃষকদের জমি দখল করে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমির প্রকৃত মালিকদের জমি দখল করে নেয়। জমিতে পা ফেললে হত্যা করবে এমন হুমকি দেয়। ওই সময় কৃষকেরা তাদের অত্যাচারের ভয়ে অসহায় হয়ে পড়েছিল। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর থেকে তাদের দোসররা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় অসহায় দরিদ্র কৃষকেরা আমাদের কাছে এসে অনুরোধ করে তাদের জমি উদ্ধার করে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য।
মেসেঞ্জার/রিপন/তুষার