ছবি : মেসেঞ্জার
ভারতে বাংলাদেশী দূতাবাসে হামলা, জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগ ও অব্যাহতভাবে ভারতীয় আগ্রাসন এবং ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রংপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে মহানগর বিএনপি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধায় নগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড় থেকে মিছিলটি শুরু হয়। আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু ও সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডনের নেতৃত্বে মিছিলটি নগরীর জীবন বীমা মোড় হয়ে জাহাজ কোম্পানী মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করে। সেখান থেকে মিছিলটি আবারও গ্রান্ড হোটেল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এসময় নেতাকর্মীরা দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; ভারতীয় আগ্রাসন, মানবে নারে জনগণসহ বিভিন্ন ধরণের ভারত বিরোধী শ্লোগান দেয়। মিছিলে মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
সমাবেশে মহানগর সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন বলেন, ‘দীর্ঘ ১৫ বছর তিন মাস ভারতের সেবাদাস ও তাবেদার সরকার আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সকল স্বার্থকে বিষর্জন দিয়ে ভারতের স্বার্থকে তারা প্রাধান্য দিয়ে প্রত্যেকটি কাজ করেছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে অর্জিত দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অস্তিত্ব নতুন করে তৈরি হয়েছে। যে অস্তিত্বকে ভারত মানতে পারছে না। ভারত মনে করেছে খুনি হাসিনার মতো অন্তর্বর্তিকালীন সরকারও তাদের সেবাদাস সরকার। এখানেই তাদের ভুল। কিন্তু সেটা নয়। আমরা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে সম অধিকারের ভিত্তিতে আমরা আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চাই। এর কোন ব্যাত্য়য় আমরা জাতীয়তাবাদী দল ও দেশের মানুষ মেনে নিবো না। সেজন্য রাজপথে যতদিন থাকা লাগে থাকবো। তবুও ভারতকে আমরা ছাড় দিবো না।’
মহানগর আহবায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশকে ভারতের তাবেদারি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। কিন্তু পতিত হাসিনার পলায়নের পর ভারতের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা নিয়ম ভেঙে তাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। ভারত আমাদের দেশের সকল বিষয়ে মাথা ঘামানোর অপচেষ্টা করছে। আমাদের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। আমরা মনে করি ভারতের এই আগ্রাসন আমরা ইতোপুর্বে যেভাবে প্রতিহত করেছি। আগামীতেও আমরা একইভাবে প্রতিহত করবো।
মেসেঞ্জার/মান্নান/তুষার