ছবি : মেসেঞ্জার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় শীতের মৌসুম শুরু হলেও লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে ক্রেতার দেখা মিলছে না। প্রতি বছরই এই সময়টাতে লেপ-তোষকের দোকানে ভিড় বাড়তে থাকেও কিন্তু এবছর এখনও তেমন ভিড় দেখা যায়নি লেপ তোষকের বাজারে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকান মালিক ও কারিগররা দোকানে বসে অলস সময় পার করছেন।
তাদের দাবি, অন্যান্য বছর এ সময়ে লেপ-তোষকের বিক্রি তুঙ্গে থাকলেও এবার পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। এখন লেপ-তোষকের থেকে কদর বেড়েছে কম্বল-ম্যাট্রেসের। যার কারণে আগের মতো লেপ-তোষক বিক্রি হয় না। এরপরও প্রতি বছর এ সময়ে কিছু বেচাকেনা হয়ে থাকে লেপ-তোষকের দোকানে। তবে এ বছর যেন একদমই ফাঁকা যাচ্ছে।
স্থানীয় বাজারের এক লেপ-তোষক বিক্রেতা আবুল হোসেন জানান, শীত শুরু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ক্রেতা নেই বললেই চলে। আগে দিনে অন্তত ২০-৩০টি লেপ বা তোষক বিক্রি হতো। এবার দিনে ৫টির বেশি বিক্রি করতে পারছি না। চলমান অর্থনৈতিক চাপ, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাসের কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন, বাজারে লেপ-তোষকের দাম বেড়েছে। এক ক্রেতা জানান, ২০২৩ সালে যে লেপ ১,৫০০ টাকায় পেয়েছি, এবার তার দাম ২,০০০ টাকা। তাই নতুন লেপ না কিনে পুরোনোটাই ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
পৌর শহরের পুরাতন শহীদ মিনারের সামনে এক দোকানের মালিক মোবারক হোসেন বলেন, আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য খুবই খারাপ যাচ্ছে। দুই তিনজন কারিগর ছিল তাদের বসে থাকতে হয়। কারিগরদের কোনো কাজ নেই। ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। সারাদিন চলে যায় একটি অর্ডার আসে না। একটিও লেপ কিংবা তোষক বিক্রি করতে পারি না।
নতুবা বাজারের আল্লাহর বেডিং স্টোরের মালিক মো. ফয়সাল বলেন, কিছু বেচাকেনা হয়। তবে তুলনামূলক অনেক কম। এখন লেপ-তোষকের থেকে বেশি চাহিদা হচ্ছে কম্বল-ম্যাট্রেসের। যার কারণে আগের মতো লেপ-তোষক আর বিক্রি হয় না। কিন্তু লেপ-তোষকে যে আরাম পাওয়া যায় কম্বল-ম্যাট্রেসে সেই আরাম মিলে না। সেই সঙ্গে শহরে শীত কম থাকায় আগের চেয়ে বিক্রি কমে গেছে।
মেসেঞ্জার/সুমন/তারেক