ছবি : মেসেঞ্জার
নওগাঁর রানীনগরে বৈধ জমির মালিকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক ভুক্তভোগী পরিবার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন মো. রফিকুল ইসলাম রকি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৭ নভেম্বরে কয়েকটি পত্রিকায় নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলায় মাজার ও ঈদগাহ উন্নয়নের টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সংবাদ আমার নজরে আসে। প্রকাশিত সংবাদটি শতভাগ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তারা বিবাদমান মাজার বা ঈদগাহের কোন পক্ষ নয়। অতীতে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দলীয় লোকদের ছত্রছায়ায় রানীনগর উপজেলার ভেটুরা মৌজার ৫১৮ নং দাগে ঈদগাহের ৩৬ শতাংশ এবং ৫১০নং দাগে ঈদগাহের ৬০ শতাংশসহ মোট ৯৬ শতাংশ সম্পত্তি জনসাধারণের। বাকী ৫ একর ৮১ শতাংশ সম্পত্তি আকবর আলী প্রামাণিক এর নামে আরএস ৪৪নং খতিয়ান রয়েছে।
গত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিএনপি নামধারী কতিপয় দুষ্কৃতকারীরা আগের দখলবাজদের বিতাড়িত করে নতুন করে ঐ দরগাহ ও ঈদগাহ ব্যতীত আকবর আলী প্রামাণিক নামিয় পুকুরের মাছ লুঠ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভূয়া সভাপতি সেজে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এতে নতুন করে অত্র এলাকায় এবং জমির বৈধ মালিকদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো, ১৯২০ ও ১৯৬২ সালে নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলাধীন ভেটুরা মৌজায় ১৭৭ ও ১৭৮ নং দাগের পুকুর ও গোচর উল্লেখপূর্বক মোট ৬ একর ৭৭ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন হেতু প্রামাণিক ও তার নাতি আকবর আলী প্রামাণিক। ৭২ সালের জমি জরিপের সময় অত্র মৌজার ৫১০ নং দাগ ঈদগাহ ও ৫১৮ নং দাগে দরগাহ উল্লেখপূর্বক বাঁকি ৫০৯, ৫১৯ ও ৫২০ নং দাগের মোট ৫ একর ৮১ শতাংশ জমি আকবর আলী প্রামাণিকের নামে রেকর্ডভূক্ত হয়।
বিগত ২০০৭ সালে ভেটুরিয়া গ্রামের আব্দুল করিম, চকারপুর গ্রামের আনিছার রহমান বাদী হয়ে ঐ পুকুরের পানি সর্বসাধারণের ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে নওগাঁ জজ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালে শুধুমাত্র পুকুরের পানি সাধারণের ব্যবহারের পক্ষে কোট রায় দেয়। বিবাদী সেই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন। মামলাটি এখনো উচ্চ আদালতে চলমান রয়েছে।
২০১৯ সালের মামলার রায়কে কেন্দ্র করে তৎকালীন আওয়ামী সরকারের নামধারী দুষ্কৃতকারী আব্দুল হাকিম গং পুকুরের প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মাছ ও আমাদের লাগানো গাছ এবং শতবর্ষী তেতুল গাছসহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার গাছ আত্মসাৎ করে। গত ৫ আগষ্ট/২৪ এর পরে বিএনপি নামধারী ভূয়া সভাপতি দাবি করে আব্দুস সামাদ ও তার সহচর ওসমান, মোস্তাফিজুর রহমান সুমন, আজিজার রহমান ও শাহজান আলীসহ আরো অনেকেই প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মাছ লুঠ করে। পরবর্তীতে তারাই আবার ঐ জমি দখলের নীলনকশা স্বরুপ সংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
আমি জমির বৈধ মালিক হিসেবে ঈদগাহ ও দরগাহের পার্শ্ববর্তী আমার ৫০৯নং, ৫১৯ নং এবং ৫২০ নং দাগের মোট ৫ একর ৮১ শতাংশ জমি বিনা বাধায় ভোগদখলে আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও সহযোগিতা কামনা করছি। এসময় সেকেন্দার আলীসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/বেলায়েত/তুষার