ঢাকা,  বুধবার
২২ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ঘন কুয়াশার দাপটে গাইবান্ধায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আপডেট: ১৪:০৪, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ঘন কুয়াশার দাপটে গাইবান্ধায় বাড়ছে শীতের তীব্রতা

ছবি : মেসেঞ্জার

উত্তরের হিমেল হাওয়ায় গাইবান্ধা জেলায় বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বেড়েছে। কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় গাইবান্ধায় সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে রংপুর আবহাওয়া অফিস। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতি ৬-৮ কিলোমিটার। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশা আর হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমবাতাসে বেশ ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ছিন্নমূল, খেটে খাওয়া, দিনমজুর ও গরিব মানুষ। অনেক এলাকায় আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। জীবিকার তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষ এমন অবস্থার মধ্যেও কাজের সন্ধানে বের হচ্ছেন।

এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেশি। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

সদর উপজেলার আরিফ খা গ্রামের কৃষক রশিদুল ইসলাম  বলেন, কয়দিন থেকে খুব শীত ও কুয়াশা। সকালে ঠান্ডার কারণে কাজ করা যায় না। এতে খুব সমস্যায় পড়ছি। একই এলাকার বাসিন্দা সাজু ইসলাম বলেন, সকালের দিকে আর সন্ধ্যা থেকে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর শীতটা বেশি থাকে। প্রয়োজন থাকলেও সকালে বাহিরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

মেসেঞ্জার/সিয়াম/তারেক