ছবি: মেসেঞ্জার
উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত।গত তিন দিনে ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তা নদীর তীরে গড়ে ওঠা এই জেলায় সূর্যের দেখা মিলেনি। হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক ক্রেতা ছুটে আসছেন শহরের ফুটপাতে গড়ে ওঠা শতাধিক শীত বস্ত্রের দোকানে। শীতকে কেন্দ্র করে অনেক মৌসুমী গরম কাপড়ের ব্যবসায় নেমেছেন।
দেশি-বিদেশী পুরোনো গরম কাপড় ফুটপাতে কমদামে পাওয়ার কারনে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ ফুটপাতের দিকেই ঝুঁকছে। সোয়েটার, ট্র্যাকসুট, মোজা, টুপি, বাচ্চাদের কাপড়, প্যান্ট-কোট, চাদর, কম্বল, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
জেলা সদরের ফুটপাতে ছোট-বড় অন্তত দু’শতাধিক গরম কাপড়ের দোকান বসেছে। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পুরাতন গরম কাপড়ের ক্রয়-বিক্রয়। উচ্চবিত্তরা অভিজাত বিপণি বিতান থেকে কেনাকাটা করলেও সামর্থ্য না থাকায় কিনতে পারছে না মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা। তাদের একমাত্র ভরসাস্থল ফুটপাতে গড়ে ওঠা গরম কাপড়ের দোকান।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ কম দামে এখান থেকে তাদের পছন্দের শীতের পোশাক কিনে নিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শুধু জেলা সদরে নয়- গাইবান্ধার সাতটি উপজেলার গ্রামীণ হাট-বাজারে পুরাতন গরম কাপড়েরর দোকান বসেছে।
চৌধুরী মার্কেট সংলগ্ন গাইবান্ধার সবচেয়ে বড় শীত বস্ত্রের মার্কেট গাউন পট্টিতে দেখা যায়, শীত বাড়তে থাকায় ফুটপাতে দোকানের সংখ্যাও বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। প্রায় সব দোকানেই দেশি-বিদেশী পুরনো কাপড় বিক্রি করা হচ্ছে। নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তদেরও এখান থেকে কাপড় কিনতে দেখা গেছে। এই মার্কেটগুলোতে ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ হাজার টাকায় গরম কাপড় পাওয়া যায়।
গরম কাপড় কিনতে আসা রিকসা চালক জাফর সেখ বলেন, মার্কেটগুলোতে দাম বেশি থাকায় ফুটপাতের দোকান থেকে কাপড় কিনতে এসেছি। এখানে কম দামে বেশ ভালো কাপড় পাওয়া যায়।
ফুটপাতের কাপড় বিক্রেতা রাজিব মিয়া জানান, আমরা সাধারণত সোয়েটার, ট্র্যাকসুট, মোজা, টুপি, বাচ্চাদের কাপড়, প্যান্ট-কোট, চাদর, কম্বল, ট্রাউজারসহ বিভিন্ন ধরনের শীতের কাপড় বিক্রি করে থাকি। এখানে শতাধিক দোকানে প্রতিদিন প্রায় কয়েক লাখ টাকা কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
মেসেঞ্জার/সিয়াম/জেআরটি