ঢাকা,  সোমবার
১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

জনসচেতনতাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তির পথ: মেয়র শাহাদাত 

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম 

প্রকাশিত: ২৩:৩৮, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

জনসচেতনতাই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তির পথ: মেয়র শাহাদাত 

ছবি: সংগৃহীত

ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিই সবচেয়ে কার্যকর উপায় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক র‌্যালি ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। 

মশা নিধনে সিটি করপোরেশন নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে জানিয়ে মেয়র বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে এলাকাবাসীকেও সচেতন হতে হবে। ময়লা জমে থাকা বা পানি জমে থাকার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান করা জরুরি। আমাদের প্রচেষ্টা একা যথেষ্ট নয়। স্থানীয় জনগণকে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে। এভাবেই আমরা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি।

তিনি বলেন, আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মহল্লা কমিটি ও স্থানীয়দের বলেছি পরিচ্ছন্নতা সুপারভাইজার ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঠিকমত কাজ করছে কিনা, তা দেখবেন। নিজের শহর হিসেবে কিছু দায়িত্ব আপনারাও নেন। যেখানেই মনে করবেন ময়লা আবর্জনা আছে বা নালা-নর্দমা অপরিচ্ছন্ন আছে, সেখানে প্রতিটি ওয়ার্ডে সুপারভাইজারদের সরাসরি ফোন করবেন। যদি সাড়া না দেয়, সেই ব্যবস্থা আমরা করব।

জ্বর দেখা দিলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন,  রোগ একবার হয়ে গেলে তো চিকিৎসা নিতে হয় এবং কেউ শক সিনড্রোমে চলে গেলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। কারো লক্ষণ থাকলে অবহেলা না করে ডেঙ্গু সেন্টারে আসতে পারে, আমাদের মেমন-২ হাসপাতালে। সেখানে আমরা ডেঙ্গুর এন্টিজেন টেস্ট করে দিই। সেখানে আমরা রোগীও রাখি।

“গতকাল একজন শিশু মারা গেছে। ৩-৪ দিন ধরে জ্বর নিয়ে ছিল। শিশুটির অভিবাবকরা অবহেলা করে হাসপাতালে যায়নি। পরবর্তীতে যখন খুব সিরিয়াস তখন গিয়েছে। ২-৩ দিনের অধিক জ্বর থাকলে, কমপক্ষে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত বলে আমি মনে করি। ডেঙ্গুর যে ভ্যারিয়েন্ট এখন, কসমোপলিটন যে ভ্যারিয়েন্ট আছে, সেটার কারণে এবার রোগী বেশি।ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের সতর্কতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের যে প্রচার সেটা চলতে থাকবে। যদি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারব।” বলেন মেয়র। 

মেয়র জানান, মশক নিধন কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে এবং প্রতি সপ্তাহে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, নিজেদের ও আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখুন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণই ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া থেকে মুক্তির পথ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।

মেসেঞ্জার/আনোয়ার/এসকে/ইএইচএম