ছবি : মেসেঞ্জার
মৃদু শৈত্য প্রবাহে হাঁড় কাঁপানো শীত পড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। কনকনে ঠান্ডা আর উত্তরের শীতল বাতাসে তীব্র শীত অনুভুত হচ্ছে। শীতের দাপটে কাবু হয়ে পড়ছে মানুষ ও প্রানীকুল।
হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগী। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা ঠান্ডা সর্দি-কাশি, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়। এসময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৮৮%।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল এ জেলায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পারদ নীচে নামছে। আজকে মৃদু শৈত্য প্রবাহ চলছে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেনীর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান।
অগ্রাহায়নের শেষে শীত জেঁকে বসেছে দেশেরই দক্ষিন-পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গায়। এতে কষ্টে পড়েছে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। দিনমজুর, ভ্যানচালক, ইটভাটা শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ সকালে তীব্র শীতে কাঁপতে কাঁপতে রুটি রুজির খোঁজে বের হচ্ছে।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে কুয়াশার চাদর মুড়ি দিচ্ছে প্রকৃতি। গভীর রাত থেকে সুর্যোদয় পর্যন্ত কুয়াশার আড়ালে ঢাকা থাকছে চারিদিক। এ সময় সড়কে হেড লাইট জ্বেলে চলাচল করছে গাড়ীগুলো। আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার বলছে, চলতি ডিসেম্বর মাসজুড়ে এ ধরনের তাপমাত্রা বিরাজ করবে এ অঞ্চলে।
মেসেঞ্জার/লিটন/তারেক